তাচ্ছিল্যের শিকার হওয়া সেই মেয়েই এখন উপাচার্য

প্রকাশ | ২৯ মে ২০২০, ১৪:০৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

ভারতের ঝাড়খণ্ডের সিধো কানু মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন জেএনইউ এর অধ্যাপক সোনাঝরিয়া মিনজ। এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই স্বাধীন ভারতে এই প্রথম কোনো আদিবাসী মহিলার উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার ইতিহাস রচিত হল দেশে।

ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মু নিজেও একজন আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধি। তিনিই সোনাঝরিয়াকে নিয়োগ করেন এই পদে। অধ্যাপক মিনজ জেএনইউ এর স্কুল অফ কম্পিউটার এবং সিস্টেমস সায়েন্সের অধ্যাপক ছিলেন।

জানা গেছে, সোনাঝরিয়া মিনজের স্কুল-পর্ব ছিল রাঁচিতেই। সেখান থেকেই শুরু যুদ্ধ ও সংকল্প। বহুবার শুনেছেন, 'তোমার দ্বারা হবে না'। এই মন্তব্য এসেছে শিক্ষকদের থেকেই। তবে এর কারণ এমনটা নয়, যে পড়াশোনায় খারাপ ছিলেন সোনাঝরিয়া। এই মন্তব্যের কারণ ছিল এক ও একমাত্র তার আদিবাসী-পরিচয় এবং ইংরেজি ভাষার প্রতি অনর্গল দক্ষতার খামতি।

তখন থেকেই সোনাঝরিয়ো ঠিক করে নিয়েছিলেন, হার মানবেন না। পড়াশোনা করেই দেখিয়ে দেবেন, তিনিও পারেন। তারাও পারেন। অনর্গল ইংরেজি বলতে পারাটা কেবলই অভ্যাসজাত দক্ষতা, তার বেশি কিছু নয়। এই জেদ এবং মেধার জোর প্রতিফলিত হয় রেজাল্টে।

স্কুলজীবনের পরে ভাল রেজাল্ট নিয়ে চেন্নাই চলে যান তিনি। সেখানকার মাদ্রাজ খ্রিস্টান কলেজে স্নাতক পর্ব শেষ করেন। তারপর গণিতে এমএসসি করেন সেখানেই। এর পরে এমফিল ও পিএইচডি করেন নয়াদিল্লির জেএনইউ থেকে, কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে। তারপর সেখানেই কয়েকবছর অধ্যাপনা করেন।

সোনাঝরিয়া মিনজের এই কৃতিত্বে খুশি গোটা ঝাড়খণ্ড। বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে ঝাড়খণ্ড পৌঁছান অধ্যাপক মিনজ। দায়িত্ব নেন উপাচার্য হিসেবে। অনুচ্চারেই যেন বলা হয়ে যায়, 'আমার দ্বারা সব হবে'।

সোনাঝরিয়া মিনজের বাবা লুথেরান বিশপ এমেরিটাস নির্মল মিনজ। তিনি রাঁচির গসনার কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি আদিবাসী সমাজের ভাষাশিক্ষক ছিলেন। ওঁরাওঁ উপজাতির কুদুখ সম্প্রদায়ের ভাষার উন্নয়নে অবদান রাখায় ২০১৬ সালে ভাষা সম্মানও জয় করেছিলেন তিনি। সূত্র: দ্য ওয়াল

ঢাকা টাইমস/২৯মে/একে