প্লাজমা থেরাপি ও রেমডেসিভির ব্যবহারে 'না' বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ৩০ মে ২০২০, ১০:১১ | প্রকাশিত : ৩০ মে ২০২০, ০৯:১৩

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকি‍ৎসায় আগেই ম্যালেরিয়ারোধী ‘হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন’ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আর এবার ‘রেমডেসিভির’সহ অন্যান্য অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহার না করার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। এমনকি ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা চিকি‍ৎসায় যে প্লাজমা থেরাপির প্রয়োগ করা হচ্ছে তাও ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

কোনো প্রতিষেধক না থাকায় করোনার চিকি‍ৎসায় কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকি‍ৎসকদের। এমন অবস্থায় কেউ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন, কেউ ‘রেমডেসিভির’, কেউ আবার ‘অ্যাভিগান’ প্রয়োগে ভালো ফল মিলতে পারে বলে দাবি করছেন। বেশ কয়েকটি দেশে আবার চিকি‍ৎসকদের একাংশ প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগের পথে হেঁটেছেন। কিন্তু বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সর্বশেষ যে গাইডলাইন দিয়েছে, তাতে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় কোনো ধরনের অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহারের অনুমোদন দেয়নি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রেমডেসিভির এবং অন্যান্য অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের ব্যাপারে জানিয়েছে, ‘কয়েকটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এবং পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে বিদ্যমান গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। করোনার চিকিৎসায় এসব ওষুধের কোনোটিরই উচ্চমানের ইতিবাচক ফল পাওয়ার প্রমাণ মেলেনি। এমনকি এসব ওষুধের জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। তাই ওই ওষুধ ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপের দেড়শ দিনের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এর কোনও প্রতিষেধক কিংবা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শতাধিক ভ্যাকসিন তৈরির প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসব ভ্যাকসিনের মধ্যে অন্তত ৬টি প্রথম ধাপের ট্রায়াল সফল হওয়ায় দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।

ঢাকা টাইমস/৩০মে/একে

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :