সাহসী পদক্ষেপগুলো যেন পরিকল্পনা মাফিক হয়

প্রকাশ | ৩০ মে ২০২০, ১০:২৫ | আপডেট: ৩০ মে ২০২০, ১০:৪০

মো. তানভীর হাসান ভূঁইয়া

করোনাকে সাথে নিয়েই বাঁচতে শিখতে হবে, কথাটা মানলাম। তবে অবশ্যই সে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে তারপর। আগুন লাগিয়ে, আগুনে ঝাপ দিতে বলা বোকামী। দেশ সচল রাখা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই দেশের মানুষের জীবনও গুরুত্বপূর্ণ। নিজে বাসায় বসে থেকে, অন্যকে আগুনে ঝাপ দিতে বলা যাবে না। আগে নিজে ঝাপ দিতে হবে, তারপর মানুষকে ঝাপ দিতে বলতে হবে।

সবকিছু খুলে দেওয়ার আগে, কঠোরভাবে ১৪ দিনের একটা লকডাউন দেওয়ার দরকার ছিলো। গত ২ মাস যে লকডাউন ছিলো, সেটা ছিলো 'চিচিং ফাক' টাইপের লকডাউন। যতটুকু জানি, এবারের ১৫ দিন অফিস খুলে দেয়াটাও সরকারের পরিক্ষামূলক। এরপর পরিস্থিতির অবনতি হলে, পদক্ষেপ পরিবর্তন হতে পারে!!

কিন্তু এসব পরিক্ষা চালাতে চালাতেই তো মানুষকে বিপদে ফেলা দেওয়া হচ্ছে বারবার!! ঈদে যারা বাড়ি গেলো আবার আসলো এটার ফলাফল পাওয়া যাবে আগামী ১০/১২ দিনের মধ্যেই। শহর কেন্দ্রিক করোনা এখন গ্রাম কেন্দ্রিক হবে৷ আবার পরিক্ষামূলক ১৫ দিন অফিস খোলার পর সেটার ফলাফল পাওয়া যাবে পরের ১ মাস!! এই করে করে করোনা চলে যাবে লাগামহীন অবস্থায়।

তাছাড়া ২ মাস পর সরকার সাধারণ ছুটি তুলে নেওয়ায় বেশিরভাগ প্রাইভেট কোম্পানি এখন সুযোগ লুটবে৷ ইতিমধ্যে লুটার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। অফিসে আসা বাধ্যতামূলক করেছে, কোনোরুপ বাস্তব স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই৷ ২ মাসের লস এবার ১৫ দিনেই তারা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে।

অনেক ইস্যু আছে। এগুলোকে শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যতেষ্ঠ সচেতন ও বুদ্ধিমান এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে তিনার দেওয়া আদেশগুলো ঠিকমত পালন হয় না, এটাই বড় সমস্যা। মনে রাখতে হবে অতীতে ফেলা আসা দিন আর এখনকার বাস্তবতা এক নয়।

যে রিস্ক আমরা নিচ্ছি, যে সাহসী পদক্ষেপের দিকে আমরা আগাচ্ছি তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। তবে সেটা যেনো পরিকল্পনা মাফিক হয়। নয়তো, এক বাক্যে বলতেই হবে ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

লেখক: সাংবাদিক

ঢাকাটাইমস/৩০মে/এসকেএস