৩০তম স্প্যানে দৃশ্যমান পদ্মা সেতুর সাড়ে ৪ কিলোমিটার

প্রকাশ | ৩০ মে ২০২০, ১১:২৫

আরাফাত রায়হান সাকিব, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রাণসংহারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময়ও থেমে নেই পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ। সকল প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। সেতুর ২৯তম স্প্যান বসানোর ২৭ দিনের মাথায় বসানো হলো ৩০ তম স্প্যান। এর ফলে দৃশ্যমান হলো সেতুর ৪ হাজার ৫শ মিটার অর্থাৎ সাড়ে ৪ কিলোমিটার অংশ।

আজ শনিবার সকাল ৯টা ৩৫মিনিটে সেতুর জাজিরা প্রান্তে ২৬ ও ২৭নং পিয়ারে বসানো হয় ১৫০মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৪০টন ওজনের ধূসর রংয়ের স্প্যানটি । পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের ঢাকাটাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গতকাল শুক্রবার সকালে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেনে ৩০ তম স্প্যানটি নির্ধারিত ২টি পিয়ার বরাবর রওনা হয়৷ দুপুরে গন্তব্যে পৌঁছে পিয়ারের কাছে স্প্যানবাহী ক্রেনটি নোঙর করে রাখা হয়। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় শনিবার সকাল সাতটায় স্প্যানটি বসানোর কার্যক্রম শুরু হয়। নির্মাণ সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও শ্রমিকদের প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে ইঞ্চি মেপে স্প্যানটি পিয়ারের উপর বসানো হয়। এতে সময় লাগে ২ঘন্টা ৩৫মিনিট।

দেওয়ান মো. কাদের আরও জানান, ২০ জুনের মধ্যে পরবর্তী ৩১তম স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ৩১তম স্প্যান " ৫-এ" সেতুর ২৫ ও ২৬নং পিয়ারের উপর বসানো হবে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হলো ৩০টি স্প্যান।

প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সবকটি পিয়ার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে।

মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে।

ঢাকাটাইমস/৩০মে/প্রতিনিধি/এমআর