নোয়াখালীতে করোনায় মৃত্যু, তথ্যে গরমিল জেলা-উপজেলার

প্রকাশ | ৩০ মে ২০২০, ২৩:৪৪ | আপডেট: ৩০ মে ২০২০, ২৩:৫৬

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নোয়াখালীতে করোনাভাইরাসে ২৯ মে শুক্রবারের রিপোর্ট অনুযায়ী আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫৭৫ জন। যার মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪১ জন ও আইসোলেশনে রয়েছেন ৫২৬ জন। এমনটাই তথ্য দিচ্ছে জেলা সিভিল সার্জন অফিস। কিন্তু মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে গরমিল রয়েছে সিভিল সার্জন অফিস ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর সাথে। চারটি উপজেলায় করোনায় মৃত রোগীর সংখ্যা ১২ জন হলেও সিভিল সার্জন অফিস বলছে, মৃত্যু ১০ জনের। এমন এলোমেলো তথ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।

শনিবার রাতে মৃত্যুর সঠিক পরিসংখ্যানের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের করোনা ফোকাল পার্সন ডা. আরাফাত হোসেনের কাছে, তিনি বলেন, জেলা এ পর্যন্ত করোনায় ১০ জন মারা গেছে বলে আমি জানি। তবে কোন উপজেলায় কতজন তা দেখে জানাতে হবে।

আক্রান্ত ১২ জনের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে অফিসের পরিসংখ্যানবিদের সাথে কথা বলা ছাড়া কিছু বলা যাবে না।

সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, উপজেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ জন। যার মধ্যে মোরশেদ আলম (৪৫) নামে এক ইতালিপ্রবাসী ও ফখরুল ইসলাম বাচ্চু (৫৯) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। মৃত্যুর পরে তাদের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মতিউর রহমান বলেন, সর্বশেষ পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী সেনবাগে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ জন। যার মধ্যে মো. আক্কাস (৪৮) নামে এক রাজমিস্ত্রী ও আব্দুল মান্নান মনু (৬১) নামে একজন বৃদ্ধ মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুর পরে তাদের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস জানান, বেগমগঞ্জে মোট আক্রান্ত ২৬১ জন। আক্রান্তদের বেশিরভাগই চৌমুহনী পৌরসভায়। এদের মধ্যে তারেক হোসেন (৩০), আমিনুল ইসলাম মিন্টু (৪৭), শহিদুর রহমান (৬৬), বেলাল উদ্দিন (৫৭), হাজী আবুল খায়ের পাটোয়ারী (৭৪) ও জতন লাল সাহা (৬৫) মারা গেছেন। এদের মধ্যে ৫জনের মৃত্যুর পর করোনা পজিটিভ ও পশ্চিম গণিপুরের বাসিন্দা হাজী আবুল খায়ের পাটোয়ারী আক্রান্ত হওয়ার পর মারা গেছেন।

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহাবুবুর রহমান বলেন, সদর উপজেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১২১ জন। যার মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক ফারুক (৫৫) ও মাঈন উদ্দিন মানিক (৬৫) নামে দুইজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে মাঈন উদ্দিন মানিককে প্রথমে সুবর্ণচরে দেখানো হলেও পরে তার বাসা জেলা শহরের রশিদ কলোনিতে হওয়ায় সদরে দেখানো হয়েছে। মৃত্যুর পরে তাদের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মোমিনুর রহমান বলেন, জেলায় করোনায় মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তথ্যে ভুল আছে কিনা তা দেখে সংশোধন করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/৩০মে/এলএ)