দীর্ঘ সময় দলে না থাকতে পারায় ইমরুলের আফসোস

প্রকাশ | ৩১ মে ২০২০, ১৩:৪৯

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ দলে প্রায় এক যুগ ধরে খেলেছেন ইমরুল কায়েস কিন্তু সে তুলনায় খুব বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হয়ে ওঠেনি তার। কারণ দলে স্থায়ী সুযোগ না পেয়ে নিজেকে দুর্ভাগা ভাবার সাথে মেনে নিচ্ছেন ভাগ্যের পরিহাস। তবে আফসোস আছে টানা দীর্ঘ সময় জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ার।

ইমরুলের কাছে জাতীয় দলে খেলতে পারাটাকে সবচেয়ে বড় সৌভাগ্যের মনে হয়। ক্রীড়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘পাওয়ারপ্লে কমিউনিকেশন্সের’ সাথে সরাসরি আড্ডায় নিজের আফসোসের জায়গা নিয়ে কথা বলেছেন এই বামহাতি ওপেনার।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দলে খেলাটাকে আমি সবসময় খুব সৌভাগ্যের মনে করি; খুব গর্বের একটা কাচ মনে করি। আমার কাছে মনে হয়, খেললে আমি হিরো হয়ে যাচ্ছি নাকি কোন অবস্থানে যাচ্ছি এটা বেশি গুরুত্ব দিই না। যখন জাতীয় দলের জার্সি পরে মাঠে নামি তখন মনে হয় আমি আমার দেশকে প্রতিনিধিতবআ করছি। একটা খেলোয়াড়ের কাছে এর চেয়ে বড় চাওয়া আর কিছু হতে পারে না।’

তারকাখ্যাতি না পাওয়ার ব্যাপারে ইমরুল মনে করেন সবাই একরকম হতে পারে না। ভারতীয় দুই খ্যাতনামা ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার ও বিরাট কোহলির উদাহরণ দিয়ে এই কথাটা ব্যাখা করেন তিনি। নিজের ভাগ্যও এভাবে মেনে নিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান।

ইমরুলের কণ্ঠে, ‘হ্যাঁ, এখান থেকে অনেক খেলোয়াড় ভালো খেলে অনেক নাম করছে। কিন্তু দেখেন, সারাবিশ্বে কত খেলোয়াড় খেলছে, তারা সবাই বড় সুপারস্টার হয় না। সবাই তো আর বিরাট কোহলি, শচীন হয় না। কিন্তু তারা সবাই জোতীয় দলে খেলে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে।’

২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ইমরুলের। গত প্রায় ১২ বছর বাংলাদেশ দলের সাথে আছেন তিনি। কিন্তু ধারাবাহিক দলে জায়গা হয়নি তার। কয়েক সিরিজ পরেই বাদ পড়নে আবার দেলে ফেরেন- এভাবেই এক যুগ কাটিয়ে দিয়েছেন কায়েস। এতদিন ধরে খেললেও তাই এখনো ২০০টা আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলা হয়নি। এদিক দিয়ে নিজেকে দুর্ভাগা মনে করেন তিনি। অনেকের মতো সমর্থন তিনি পান না বলেও জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/৩১ মে/এআইএ)