করোনায় একদিনে সুস্থ লাখ পার, আক্রান্তও লাখের বেশি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০১ জুন ২০২০, ০৮:২২ | প্রকাশিত : ০১ জুন ২০২০, ০৮:১৪

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণসংহারি ভাইরাস করোনায় তাণ্ডব থামছেই না। বিশ্বব্যাপী এখনো তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে অচেনা ভাইরাসটি। প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন ভাইরাসটিতে। মৃত্যুর সংখ্যাও প্রতিদিন বেড়েই চলছে। চীনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও অচেনা ভাইরাসটি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে। বাংলাদেশেও থেমে নেই ভাইরাসটির তাণ্ডব।

গতকাল রবিবার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত একদিনে বিশ্বে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখেরও বেশি। গতকাল সারাবিশ্বে এক লাখ ৬ হাজার ৬৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ২৯৪০ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ২৮ লাখ ৪৬ হাজার ৫২৭ জন।

করোনাভাইরাস নিয়ে লাইভ আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার এই তথ্য জানিয়েছে।

শনিবার সকাল পর্যন্ত করোনায় বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৭৩ হাজার ৮৫৮ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৬২ লাখ ৬৩ হাজার ৭১ জন। অপরদিকে সুস্থ হয়েছেন ২৮ লাখ ৪৬ হাজার ৫২৭ জন।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে এই মহামারি শুরু হলেও ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে তাণ্ডব চালিয়েছে করোনাভাইরাস। এখন এর কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে রাশিয়া, ব্রাজিল ও ব্রিটেন।

আক্রান্ত ও নিহতের সংখ্যায় বরাবরের মতো সবার ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ লাখ ৩৭ হাজার ১৭০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ছয় হাজার ১৯৫ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬৭ জন।

আক্রান্তের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ১৪ হাজার ৮৪৯ জন, মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৩১৩ জনের।

রাশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৫ হাজার ৮৪৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ৪৬৯৩ জনের। স্পেনে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮৬ হাজার ৫০৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ১২৭ জনের।

মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রিটেনে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩৮ হাজার ৪৮৯ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৭৪ হাজার ৭৬২ জন। এছাড়া ইতালিতে মারা গেছেন ৩৩ হাজার ৪১৫ জন।

চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ভাইরাস করোনা মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।

গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে শনাক্ত হওয়া ভাইরাসটি এখন মহামারি রূপ নিয়েছে সারাবিশ্বে। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নেয়া হয়েছে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। অধিকাংশ দেশেই মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে মানুষের চলাফেরার ওপর বিভিন্ন মাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। কোনো কোনো দেশে আরোপ করা হয়েছে সম্পূর্ণ লকডাউন, কোথাও কোথাও আংশিকভাবে চলছে মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রম। এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকার প্রায় অর্ধেক মানুষ চলাফেরার ক্ষেত্রে কোনো না কোনো মাত্রায় নিষেধাজ্ঞার ওপর পড়েছেন। তবে এরই মধ্যে কোনো কোনো দেশে করোনার প্রভাব কমে যাওয়া লকডাউন শিথিল ও নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।

ঢাকাটাইমস/৩১মে/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :