লিবিয়ায় মানবপাচার: তানজিরুলসহ সাতজনের নামে মামলা

প্রকাশ | ০১ জুন ২০২০, ১৬:৩০

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

লিবিয়ায় মানবপাচারের দালাল তানজীরুল ইসলামসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় মামলা হয়েছে। রবিবার রাতে লিবিয়ায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত আকাশের বড় ভাই মোবারক বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

মামলায় সাতজন আসামির নাম উল্লেখ করে মানবপাচার, মুক্তিপণ, মারধোর, হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলাটি করা হয়। মামলার  প্রধান আসামি মানবপাচারকারি দালাল ভৈরবের শ্রীনগর গ্রামের তানজিরুল ইসলাম এবং দ্বিতীয় আসামি করা হয় একই এলাকার দালাল জাফর মিয়াকে। এছাড়াও মামলায় সাত-আটজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

এদিকে প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাঠানো ও লিবিয়ায় নিহত হওয়ার ঘটনাটি সরেজমিনে তদন্ত করতে ঢাকার সিআইডির অর্গানাইজ ক্রাইম টিম গত শনিবার রাতে ভৈরব থানায় এসে তদন্ত শুরু করেছে। সিআইডির টিম প্রধান পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান রবিবার ঘটনাটি সরেজমিনে তদন্ত করতে গিয়ে ভৈরবের শ্রীনগর গ্রামের মানব পাচারকারী দালাল তানজিরুলের বড় ভাই বাচ্চু মেলিটারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন।

মামলার বাদী লিবিয়ায় নিহত আকাশের বড় ভাই মোবারক জানান, দেড় বছর আগে পরিবারের ভরপোষণের জন্য লিবিয়ায় যান তার ভাই। সেখানে কাজ করার সময়ে ভৈরবের শ্রীনগর গ্রামের দালাল তানজীরের মাধ্যমে লিবিয়ার বেনজি থেকে ত্রিপুলি হয়ে ইতালি যাওয়ার জন্য কথাবার্তা হয়।

তিনি বলেন, তারা ইতালিতে পৌঁছানোর পর তিন-চার লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে। ইতালির উদ্দেশ্যে রওনা দেবার কিছু দিন পর তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারেনি। হঠাৎ ২৭ মে সন্ধ্যায় ইমুতে একটি ভয়েস মেসেজ আসে, সেখানে জানতে পারি আমার ভাই বলছে, ‘আমাকে বাঁচাও, আমাকে মেরে ফেলবে।’ দালালরা তার কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে। যদি না দেয় তাহলে তাদের মেরে ফেলবে। এরপর থেকে আর তাদের কোনো খোঁজ মিলেনি। পরর্বতীতে টিভিতে খবর শুনে জানা যায় তার ভাই লিবিয়াদের গুলিতে মারা গেছে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে স্থানীয় এক মানবপাচারকারীর পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় ভৈরব উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ছয়জন নিহত হন।

(ঢাকাটাইমস/১জুন/কেএম)