বগুড়ার ১৩ ছাত্রীকে অবরুদ্ধ করে ভাড়া আদায়ের চেষ্টা

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০১ জুন ২০২০, ২৩:৩৮

বগুড়ার কামারগাড়ী এলাকার মুন্নুজান ছাত্রী নিবাসের ১৩ ছাত্রীকে অবরুদ্ধ ভাড়া আদায় চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ এবং ছাত্রীদের মাঝে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে মালিকপক্ষের সাথে সমঝোতায় ছাত্রীরা হোস্টেল ত্যাগ করে বাড়ি ফিরেছে। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পর ছাত্রী নিবাসের শিক্ষার্থীরা ২০ মার্চের মধ্যেই নিজ নিজ বাড়িতে চলে যায়। এরপর কিছু শিক্ষার্থী ঈদের পর ছাত্রী নিবাসে ফেরে। এরপর তারা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং কাপড়চোপড় নিয়ে বাড়ি যেতে চান। কিন্তু ছাত্রী নিবাসের কর্তৃপক্ষ তাদের এপ্রিল, মে এবং জুন মাসের ভাড়া পরিশোধ করে যেতে বলেন। এ নিয়ে গত ৩১ মে থেকে ছাত্রীদের সাথে ছাত্রী নিবাসের সুপার হাফিজা খাতুনের সাথে তর্কবিতর্ক চলছিল। ভাড়া না দিলে তারা তাদের মালামাল নিয়ে বাড়ি যেতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। এর এক পর্যায়ে সোমবার ১৩ ছাত্রী তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে হোস্টেল ত্যাগ করতে চাইলে সুপার হাফিজা খাতুন তাদের আটকিয়ে দেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়।

এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পর ওই ১৩ জন ছাত্রী ছাত্রীনিবাস থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন।

সরকারি আজিজুল হক কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী রুমা আক্তার ঢাকাটাইমসকে জানান, তিনি ৬ষ্ঠ তলায় থাকেন। তারা ১৮ থেকে ২০ মার্চের মধ্যেই ছাত্রী নিবাস ছেড়ে বাড়ি গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন রুমে তার জিনিসপত্র এলোমেলো। তার লাগেজ ভাঙা। লাগেজের ভেতরের কাপড়চোপড়সহ সবকিছু চুরি হয়ে গেছে।

সরকারি আজিজুল হক কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞানের মাস্টার্স শেষবর্ষের আরেক ছাত্রী সিরাজগঞ্জের রিফাত জাহান জানান, তিনমাসের ভাড়া না পরিশোধ করে আমাদের হোস্টেল থেকে বের হতে দেবেনা বলেছে হোস্টেল সুপার। আমরা যেন আমাদের সার্টিফিকেট নিয়ে বের হতে না পারি, সেজন্য আমাদের ভ্যানিটি ব্যাগ পর্যন্ত তল্লাশি করা হয়েছে। আমরা টাকা নিয়ে আসিনি। আমাদের বাড়ি অনেক দূরে। এই মুহূর্তে টাকা দিতে পারব না।

মুন্নুজান ছাত্রী নিবাসের সুপার হাফিজা খাতুন ঢাকাটাইমসকে বলেন, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ভাড়া আমরা প্রথমে ছাত্রীদের কাছ থেকে চেয়েছিলাম। ছাত্রীরা দিতে অপরগ হলে আমি হোস্টেলের মালিকের সাথে কথা বলি। তিনি ছাত্রীদের কাছ থেকে শুধুমাত্র এপ্রিল মাসের ভাড়া নিতে বলেন। কিন্তু ছাত্রী তিন মাসের জায়গায় একমাসের ভাড়া দিতেও অস্বীকার করছিল।

স্টেডিয়াম ফাঁড়ির পুলিশের এসআই জাহাঙ্গীর আলম জানান, ছাত্রী নিবাস মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। ছাত্রীদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে ছাত্রীনিবাস ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। যার টাকা আছে, সে দিয়ে যাবে। আর যার নাই, সে পরে এসে দেবে। তবে টাকার জন্য কোনো ছাত্রীকে আটকে রাখতে পারবে না। কর্তৃপক্ষ যদি তাতে বাধা দেয়, তবে ওই ছাত্রী নিবাস কর্তপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১জুন/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :