পোশাক কারখানা তদারকি করবে ‘আরএসসি’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০২ জুন ২০২০, ১০:৩৯ | প্রকাশিত : ০২ জুন ২০২০, ১০:২০
ফাইল ছবি

পোশাক শিল্পে নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে নতুন প্ল্যাটফর্ম আরএমজি সাসটেইনিবিলিটি কাউন্সিলের (আরএসসি) যাত্রা শুরু করেছে। কারখানার কর্মপরিবেশ পরিদর্শন, অবকাঠামো সংস্কার কাজের তদারকি, নিরাপত্তামূলক প্রশিক্ষণ এবং একটি স্বাধীন/স্বতন্ত্র অভিযোগকেন্দ্র পরিচালনা করবে আরএসসি।

সোমবার আরএসসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেইফটির বাংলাদেশ অফিসের যাবতীয় কাজ আজ থেকে আরএসসির কাছে ন্যস্ত হলো। আরএসসি হচ্ছে একটি স্থায়ী জাতীয় সংগঠন যাতে রয়েছে পোশাক প্রস্তুতকারক, পোশাক খাতের আন্তর্জাতিক ক্রেতা ও পোশাক শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। যা দেশীয় শিল্প, ব্রান্ড এবং ট্রেড ইউনিয়নকে একত্র করে একটি সমন্বিত কমপ্লায়েন্সের মানদণ্ড নিশ্চিত করবে। পর্যায়ক্রমে শিল্পসম্পর্ক, কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশগত বিষয়গুলো নিজেদের কার্যপরিধির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করবে আরএসসি।

আরএসসিতে কারখানা মালিকদের প্রতিনিধি হিসেবে আছেন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক ও পরিচালক মিরান আলী, বিদেশি ক্রেতাদের প্রতিনিধি হিসেব আছেন এইচঅ্যান্ডএমের রজার হুবার্ট এবং শ্রমিক প্রতিনিধি হিসাবে আছেন ইন্ড্রাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের মহাসচিব চায়না রহমান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এতদিন ধরে অ্যাকর্ড যে ১৬০০ কারখানায় সংস্কার উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছিল, প্রথম পর্যায়ে সেগুলোতে কর্মপরিবেশ তদারকি করবে আরএসসি। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে অন্যান্য রপ্তানিমুখী কারখানাগুলোকে তাদের কার্মপরিধির অন্তর্ভুক্ত করবে। কর্মদক্ষতার উন্নয়ন, পরিবেশ সুরক্ষার বিভিন্ন দিক এবং শিল্পখাতের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের বিষয়গুলোও নিজেদের কার্যতালিকায় স্থান দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে আরএসসির।

নতুন উদ্যোগ সম্পর্কে বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, ‘একটি অভূতপূর্ব জাতীয় উদ্যোগ হিসাবে আরএসসির জন্ম। ব্র্যান্ড ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে নিয়ে এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা বিশ্বব্যাপী প্রমাণ করার চেষ্টা করব যে, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক কেনার জন্য বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ একটি কেন্দ্র।

২০১২ সালে তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ড এবং ২০১৩ সালে সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের কর্মপরিবেশ নিয়ে ক্রেতা দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে কারখানা পরিদর্শনে ইউরোপীয় ২২৮টি ক্রেতার সমন্বয়ে গঠিত হয় অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ, যা সংক্ষেপে অ্যাকর্ড নামে পরিচিতি পায়। ২০১৮ সালের মে মাসে অ্যাকর্ডের কার্যকারিতার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

একই সময়ে একই লক্ষ্যে গঠিত আমেরিকার ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স নির্দিষ্ট সময়ের পর ফিরে গেলেও কাজ শেষ হয়নি বলে আরও তিন বছর সময় বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় অ্যাকর্ড, যাতে আপত্তি তোলে বাংলাদেশের কারখানাগুলো। মালিক ও শ্রমিকপক্ষের বিরোধিতার কারণে অ্যাকর্ডের মেয়াদ বৃদ্ধির ওই উদ্যোগ আদালতে গড়ায়।

পরে গত ৮ মে অ্যাকর্ড ও বিজিএমইএ যৌথভাবে আরও ২৮১ কর্মদিবস কাজ করতে একটি সমঝোতা চুক্তিতে সই করে। গত ১৯ মে এই সমঝোতা চুক্তির ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ উভয়পক্ষকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আদেশ দেয়।

নতুন এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয় ট্রানজিশনাল অ্যাকর্ড। তবে এরপরও অ্যাকর্ড ও কারখানা মালিকদের মধ্যে বিরোধ দূর হয়নি। সংস্কারের নামে অ্যাকর্ড কারখানা মালিকদের হয়রানি করছে এবং রপ্তানিতে বাধা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ ছিল মালিকপক্ষের।

এরপর উভয়পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার জন্য আরএসসি গঠিত হয়।

(ঢাকাটাইমস/২মে/জেআর/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :