একই অ্যাপে মিলবে জেনিথ ইসলামী লাইফের সব সেবা

প্রকাশ | ০২ জুন ২০২০, ১১:৪৯

এস এম নুরুজ্জামান

একই অ্যাপে সব সেবা চালু করেছে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এখন থেকে ঘরে বসেই বীমা পলিসি ক্রয় ও প্রিমিয়াম জমা দিতে পারবেন গ্রাহকরা। প্রয়োজনীয় তথ্যও জানা যাবে জেনিথ লাইফ নামের এই অ্যাপে। একইসঙ্গে কোম্পানিটির উন্নয়ন কর্মীরাও পাবেন তাদের ব্যবসায়িক তথ্য।

প্রিমিয়াম ক্যালকুলেটর, বীমা পরিকল্প, ব্যাংক একাউন্ট, উন্নয়ন কর্মকর্তা, গ্রাহক, ওয়েবসাইট, পেমেন্ট, বীমা ক্রয় ও যোগাযোগ নামে ৯টি বাটন রয়েছে এই অ্যাপে। এসব বাটন ব্যবহার করে নির্ধারিত সেবা গ্রহণ করতে পারবেন বীমা গ্রাহক ও উন্নয়ন কর্মীরা। গুগল প্লে স্টোর থেকে যে কেউ অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারবেন। এজন্য স্মার্টফোনে ৮.৪ মেগাবাইট জায়গা প্রয়োজন হবে।

প্রিমিয়াম ক্যালকুলেট, বীমা পরিকল্প ও ব্যাংক একাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য এবং যোগাযোগের ঠিকানা, ইমেইল ও প্রয়োজনীয় টেলিফোন নম্বর পেতে ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন নেই। তবে উন্নয়ন কর্মকর্তা ও গ্রাহকের প্রয়োজনীয় তথ্য জানার জন্য মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। এছাড়াও কোম্পানির ওয়েবসাইটে যেতে, অনলাইনে পেমেন্ট করতে এবং বীমা পলিসি কিনতে ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন রয়েছে। এই অ্যাপ ব্যবহার করে উন্নয়ন কর্মকর্তারা তাদের অধীনস্ত কর্মকর্তাদের ব্যবসার তথ্যও জানতে পারবেন।

গ্রাহক সেবার মান বাড়াতে অ্যাপ তৈরি ছাড়াও প্রথমবারের মতো বীমাখাতে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ভাষাতেও ওয়েবসাইট চালু করে জেনিথ ইসলামী লাইফ। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা প্রযুক্তির ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। গ্রাহকসেবা ত্বরান্বিত করতে প্রযুক্তি নির্ভরতা বাড়াচ্ছি আমাদের কর্মকাণ্ডে। বর্তমান সরকারের ডিজিটালাইজেশনের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। আমরা অ্যাপটি এমনভাবে ডিজাইন করেছি যাতে উন্নয়ন কর্মকর্তা এবং বীমা গ্রাহকরা তাদের প্রয়োজনীয় সব সেবা এখান থেকেই নিতে পারেন। গ্রাহক নিজেই প্রিমিয়াম ক্যালকুলেট করে অনলাইন মাধ্যমে তা পরিশোধ করতে পারবেন। এ ছাড়াও শুধু পলিসি নম্বর দিয়েই স্টেটমেন্ট জানতে পারবেন বীমা গ্রাহকরা। প্রযুক্তির এই ব্যবহারে কোম্পানির কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আসবে।

অসাধু বীমা কর্মীরা প্রতারণার সুযোগ পাবে না। তাছাড়া কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয়ও কমে আসবে। এতে বীমা শিল্পের যে ইমেজ সংকট রয়েছে সেটা দূর করতেও কাজ করবে, এমনটাই প্রত্যাশা করেন জেনিথ ইসলামী লাইফের পরিচালনা পর্ষদ।

লেখক: সিইও, জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।