ঝুঁকি নিয়েই সেবা দিচ্ছেন বড়লেখার পল্লীচিকিৎসকরা

প্রকাশ | ০২ জুন ২০২০, ১৩:৪৪

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

করোনা আতঙ্কে মৌলভীবাজারের বড়লেখার হাসপাতালগুলোতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সাধারণ রোগী দেখা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার এবং গ্রামে নিয়মিত রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন অন্তত দেড় শতাধিক পল্লী চিকিৎসক। সরকারি কোনো সহায়তা না পাওয়ায় নিজ উদ্যোগে সুরক্ষা উপকরণ সংগ্রহ করে যতটুকু সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে রোগীদের সেবাদান অব্যাহত রেখেছেন তারা। 

পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের হাটবাজারে ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ পল্লী চিকিৎসকই শুধু মাস্ক এবং হ্যান্ডগ্লাভস পরে রোগী দেখছেন।

তারা জানান, সরকার বা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে কোনও সহায়তা বা ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ না পাওয়ায় যতটুকু সম্ভব  নিজ উদ্যোগে সুরক্ষা উপকরণ সংগ্রহ করে  স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা।

বড়লেখা সদর ইউনিয়নের পল্লীচিকিৎসক সজল সরকার বলেন, ‘দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে মানুষকে অসহায় অবস্থায় ফেলে আমরা ঘরে বসে থাকতে পারিনা। আমার পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব মানুষকে সেবা দিচ্ছি। করোনা উপসর্গের রোগী হলে সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠাচ্ছি।’

বাংলাদেশ পল্লী-চিকিৎসক সমিতি, বড়লেখা উপজেলা শাখার সভাপতি দীপক কর জানান, করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে উপজেলার শতাধিক পল্লী চিকিৎসক। শতকরা ৭০ জন রোগীকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন তারা। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের দিকে নজর রাখছেন না। পল্লী চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ায় আহ্বান জানান তিনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রত্নদ্বীপ বিশ্বাস বলেন,’করোনা পরিস্থিতিতে পল্লী চিকিৎসকদের রোগী দেখার ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা হচ্ছে, করোনার উপসর্গের রোগী পেলে তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেফার করবেন। এক্ষেত্রে তাদের চেম্বারগুলোতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধির উপর গুরুত্ব দিতে হবে । সুরক্ষা উপকরণ তাদের নিজ থেকেই সংগ্রহ করতে হবে।’

ঢাকাটাইমস/২জুন/পিএল