তৈরি হচ্ছিল ‘১০০ ভাগ জীবাণুনাশক’ স্যানিটাইজার!
ছিল খাদ্যের লাইসেন্স। তৈরি হচ্ছিল হ্যান্ডওয়াশ ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। আর প্যাকেটের গায়ে লেখা ছিল ‘১০০ ভাগ জীবাণুনাশক’। ৯৯.৯৯ শতাংশ জীবাণুনাশক শোনা গেলেও ১০০ ভাগ জীবাণুনাশক লেখা দেখা গেল এসব পণ্যে।
রাজধানীর খিলগাঁও গোড়ান এলাকার রেজা ফুড প্রোডাক্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠানে এ চিত্র দেখা যায়। পরে পাঁচলাখ টাকা জরিমানা করে প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার সকাল থেকে চলা অভিযান শেষ হয় দুপুর ১টায়। অভিযান পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। এ সময় বিপুল পরিমাণ নকল ও অনুমোদনবিহীন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হ্যান্ডওয়াশ জব্দ করা হয়েছে।
পলাশ কুমার বসু ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘নকল স্যানেটাইজার পণ্য তৈরির অভিযোগে একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়েছে। তাদের হ্যান্ডওয়াশ ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার গায়ে লেখা ছিল ‘১০০ ভাগ জীবাণুনাশক’। আমরা সর্বোচ্চ ৯৯.৯৯ ভাগ শুনেছি, কিন্তু ১০০ ভাগ জীবাণুনাশক শুনিনি। আর এই সম্পকৃত কোনো কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেনি। চট্টগামের ‘অগ্নিবাস’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে এগুলো বাজারে ছাড়ত।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, রেজা ফুড প্রোডাক্টের নামে খাদ্যের লাইসেন্স থাকলেও করোনাকালকে কাজে লাগিয়ে অনুমোদন ছাড়া হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন, প্যাকেজিং ও বিপণন করে আসছিল। এই অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে পাঁচলাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিনমাসের জেল এবং তার নকল মালামাল জব্দ করা হয়েছে। পরে সেগুলো ধ্বংস করা হবে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। কারণ, না হলে সে আবারও এসব নকল সামগ্রী তৈরি করবে।
বাজারে কতদিন নকল এই পণ্যসামগ্রী বাজারে ছেড়েছে জানতে চাইলে পলাশ কুমার বলেন, কয়েকমাস ধরেই এসব পণ্য তৈরি করে বাজারে ছাড়ছিল।
ঢাকাটাইমস/০২জুন/এসএস/ইএস