গণপরিবহনে ভাড়া-স্বাস্থ্যবিধি কিছুই মানা হচ্ছে না: রিজভী

প্রকাশ | ০২ জুন ২০২০, ১৪:৫৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
রুহুল কবির রিজভী (ফাইল ছবি)

জনগণের জীবনের কথা চিন্তা না করে সরকার শুধুমাত্র জীবিকার অজুহাতে সবকিছু খুলে দিয়ে অপরাধীদের পৃষ্ঠপাষকতা করছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেছেন, গণপরিবহনে সরকারের নির্ধারিত ভাড়ার থেকে বেশি নেয়া হচ্ছে। কোনো পরিবহনেই স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। সরকার গণপরিবহনের সিন্ডিকেটের কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহন চালুর কথা থাকলেও সেটি কোনোক্রমেই বাস্তবায়িত হয়নি। দেখা যাচ্ছে বাস, লঞ্চ, টেম্পো, অটোরিকশাসহ সব ধরনের গণপরিবহনেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে। দূরপাল্লার বাসগুলোতে ঠেলাঠেলি করে মানুষ ভেতরে ঢুকছে। কোনো কোনো বাসের ছাদের উপরেও যাত্রী তোলা হয়েছে। লঞ্চে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকা দূরে থাক, সেখানে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। আসলে সরকার সিন্ডিকেটের কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে।’

রিজভী বলেন, ‘সরকার যা কিছু করছে, তা নিজেদের সিন্ডিকেটের স্বার্থকে রক্ষা করতে। তারা জনস্বার্থে সফল নয়, কিন্তু দুস্কর্মের সাথী হতে খুবই দক্ষ। আসলে সরকার দুর্যোগ, মহামারি, দুর্ভিক্ষ এবং জনসাধারণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘ঢাকা থেকে কোনো কোনো বাসে অর্ধেক যাত্রী তোলা হলেও ঢাকার বাইরে গিয়ে বেশি যাত্রী তোলা হচ্ছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাসে ৬০ শতাংশ ভাড়া নেয়ার কথা থাকলেও কোথাও কোথাও ৮০ শতাংশ অথবা এরও বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এগুলো সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতারই নির্দশন। তারা শুধুমাত্র বিরোধী দল ও মতকে নিষ্পেষণ ও নির্যাতনের সক্ষমতা অর্জন করেছে।’

সম্প্রতি এক্সিম ব্যাংকের এমডি-ডিএমডিকে গুলি করার হুমকি ও নির্যাতন করার মামলায় অভিযুক্ত সিকদার গ্রুপের দুই ভাইয়ের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেশত্যাগের প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘সন্ত্রাসী কায়দায় ব্যাংক লুটপাটকারীদের পালাতে সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। এটি সম্পূর্ণরূপে স্টেট টেরোরিজম।’

তিনি বলেন, ‘দুইজন দুরন্ত অপরাধীকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দেশ ছাড়ার সুযোগ করে দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। অতীতেও এই সরকার ব্যাংক লুটপাটকারীদের নানাভাবে সহযোগিতা দিয়ে নিরাপদ করেছিল, এই ঘটনা তার আরেকটি উৎকৃষ্ট প্রমাণ।’

(ঢাকাটাইমস/০২জুন/বিইউ/এমআর)