করোনা: কারাগারগুলোর সার্বিক অবস্থা জানানোর নির্দেশ

প্রকাশ | ০২ জুন ২০২০, ১৬:০২ | আপডেট: ০২ জুন ২০২০, ১৬:১১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

করোনা প্রাদুর্ভাবকে ঘিরে দেশের কারাগারগুলোর সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়ে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের এসব তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।

এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৫ জুন দিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

গত ১৭ মে করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে কারাভ্যন্তরীন ৮৯ হাজার আসামীর স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।

রিটে দেশের সকল কারাগারে কারাবন্দী ও কারারক্ষীদের স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ বাস্তবায়নের নির্দেশন চাওয়া হয়। তাছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য  সংস্থার সুপারিশের আলোকে কি কি প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ ইতোমধ্যে কারা কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে তা আদালতকে জানানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়।

এর আগে গত ১৪ মে মহামারি করোনাভাইরাস থেকে কারাবন্দিদের সুরক্ষিত রাখতে কারা কর্তৃপক্ষ কি পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানাতে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।

নোটিশে বিভিন্ন কারাগার ও সংশোধনাগারে কারাবন্দিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং মুক্তির বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের প্রস্তুতি এবং পদক্ষেপ সম্পর্কে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছিলো।

নোটিশে বলা হয়েছিলো, করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা কারা বন্দিদের অবস্থা খুবই নাজুক। দেশের কারাগারগুলোতে ধারণ ক্ষমতার দিগুণেরও বেশি বন্দি রয়েছে। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে দেশের ৬৮টি কারাগারে ৪১ হাজার ২৪৪ জনের স্থান হলেও বর্তমানে সেখানে ৮৫ হাজার বন্দি রয়েছে।

এই অবস্থায় কারাভ্যন্তরের বন্দিদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অসম্ভব। এরইমধ্যে ২৩ জন করারক্ষী এবং ২ জন বন্দীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গত ১২ মে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

'করাগারের সংকীর্ণ জায়গা সংক্রামক ব্যাধির উর্বর ক্ষেত্র। অধিকন্তু কারাবন্দিদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোন পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ নেই। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা এবং আদেশ-নিষেধ অনুযায়ী তাদের চলতে হয়। এই প্রেক্ষাপটে করাবন্দিদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।'

তবে সে নোটিশের কোন জবাব না পাওয়ায় কারাবন্দিদের সুরক্ষিত রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে রিটটি দায়ের করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২জুন/এআইএম/ইএস)