মূল্যস্ফীতি কমেছে মে মাসে

প্রকাশ | ০২ জুন ২০২০, ১৮:২৫ | আপডেট: ০২ জুন ২০২০, ১৮:৫৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যেও সাপ্লাই চেইন ভালো থাকায় এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব দিয়ে তিনি বলেন, এপ্রিলের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশের জায়গায় মে মাসে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশে। খাদ্যপণ্য ছাড়াও খাদ্য বহির্ভূত পণ্যেও এ মাসে কমেছে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মূল্যস্ফীতি কমে যাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যেও  প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমাদের সাপ্লাই চেইন ভালো ছিল। তাছাড়া চাল, সবজিসহ সব কৃষি পণ্যের উৎপাদন ভালো হয়েছে। লকডাউনে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গসহ দেশের সবখান থেকেই পণ্য ঢাকায় এসেছে। ফলে কোনো কানো ক্ষেত্রে কম দামেই পণ্য বিক্রি হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মে মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ০৯ শতাংশ, যা এপ্রিলে ছিল ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ।  আর খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মে মাসে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ, যা এপ্রিলে ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

মে মাসে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ, যা এপ্রিলে ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৬১ শতাংশ, যা গত মাসে ছিল ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ, যা এপ্রিল মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ।

অন্যদিকে, মে মাসে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮১ শতাংশে, যা এপ্রিল মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এছাড়া  খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ, যা গত মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ, যা গত এপ্রিল মাসে ছিল ৬ দশমিক ২০ শতাংশ।

এক প্রশ্নের জবাবে বিবিএস মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম বলেন, সাধারণত প্রতি মাসের ১২ থেকে ১৮ তারিখের মধ্যেই মূল্যস্ফীতির হিসাব নেওয়া হয়। তাই এপ্রিল মাসে ব্যাপক মূল্যস্ফীতি হয়েছে। কেননা মার্চ থেকে থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত লকডাউন কড়াকড়ি ছিল। পরবর্তীতে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় মূল্যস্ফীতি কমে এসেছে।

(ঢাকাটাইমস/২জুন/জেআর/ইএস)