বহিঃনিরীক্ষকের রপ্তানি ভর্তুকি নিরীক্ষার সময় নির্ধারণ

প্রকাশ | ০২ জুন ২০২০, ২০:১৯

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

একই বহিঃনিরীক্ষক দ্বারা তিন বছরের বেশি রপ্তানি ভর্তুকির নিরীক্ষা কাজ করাতে পারবে না কোনো ব্যাংক। কোনো বহিঃনিরীক্ষক ব্যাংকের ব্যালেঞ্চ শিট নিরীক্ষায় একসাথে তিন বছরের বেশি কাজ করতে পারবে না-এমন নির্দেশনা আগে থেকেই রয়েছে। কিন্তু নগদ সহায়তা বা রপ্তানি ভর্তুকির কেস নিরীক্ষার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান একসাথে তিন বছরের বেশি কাজ করতে পারবে কি না সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা ছিল না। এ বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্যই নতুন নির্দেশনা।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

দেশে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনে নিয়োজিত সকল অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও প্রিন্সিপাল অফিসে পাঠানো সেই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বহিঃনিরীক্ষক হিসেবে কোনো নিরীক্ষা ফার্মকে একই ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে একাদিক্রমে তিন বছরের বেশি সময়ের জন্য নিয়োগ প্রদান করা যাবে না মর্মে নির্দেশনা জ্ঞাপিত রয়েছে। এ মর্মে স্পষ্ট করা যাচ্ছে যে, বিধিবদ্ধ নিরীক্ষা কিংবা নগদ সহায়তা বা রপ্তানি ভর্তুকির কেস নিরীক্ষার লক্ষ্যে একাদিক্রমে তিন বছরের জন্য নিয়োজিত নিরীক্ষা ফার্মকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য একই ব্যাংকে নগদ সহায়তা বা রপ্তানি ভর্তুকির কেস নিরীক্ষার জন্য নিয়োগ করা যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকের ব্যালেঞ্চ শিট নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানও রপ্তানি ভর্তুকির কেস নিরীক্ষা করতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রপ্তানি ভর্তুকির নিরীক্ষা করতে আলাদা নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয়া হয়। তবে তাদের জন্য তিন বছর পরবর্তী নিষেধাজ্ঞার কোনো নির্দেশনা ছিল না। এই সার্কুলারের মাধ্যমে এই বিষয়টিই নিশ্চিত করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০২জুন/আরএ/জেবি)