চালু হলো আরও ১১ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন

করোনা তথা কোভিড-১৯ এর বিস্তার ঠেকাতে ৬৬ দিনের ছুটি শেষের চারদিনের মাথায় আরও ১১ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বুধবার নতুন করে ট্রেনগুলি পুনরায় চালু করা হলো।

ট্রেনগুলি চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করে রেলওয়ের মহাপরিচালক শামসুজ্জামান জানিয়েছেন, স্বল্পদূরত্বের যেমন- ঢাকা বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, নরসিংদী স্টেশনগুলোতে কোনো ট্রেন থামবে না। এছাড়া বর্তমান স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার লক্ষ্যে ট্রেনে খাবার সরবরাহ বন্ধ থাকবে এবং যাত্রার তারিখসহ পাঁচ দিন আগে হতে টিকিট কেনা করা যাবে।

এর আগে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত রবিবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আট জোড়া ট্রেন চালু করা হয়। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনার মধ্যে এক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহন করছে রেলওয়ে।

নতুন করে যুক্ত হওয়া ১১ জোড়া ট্রেনগুলো হলো- ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার–ঢাকা রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস; বেনাপোল-ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস; চিলাহাটি-ঢাকা-চিলাহাটি রুটে নীলসাগর এক্সপ্রেস; খুলনা–চিলাহাটি রুটে রূপসা এক্সপ্রেস; খুলনা-রাজশাহী–খুলনা রুটে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস; রাজশাহী-গোয়ালন্দঘাট–রাজশাহী রুটে মধুমতি এক্সপ্রেস।

চাঁদপুর-চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে মেঘনা এক্সপ্রেস; ঢাকা–কিশোরগঞ্জ–ঢাকা রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস; নোয়াখালী-ঢাকা–নোয়াখালী রুটে উপকূল এক্সপ্রেস; দেওয়ানগঞ্জ বাজার-ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার রুটে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস এবং কুড়িগ্রাম-ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস।

রেলওয়ের মহাপরিচালক শামসুজ্জামান বলেন, ‘কাউন্টারে টিকিট বিক্রি হবে না। সকল ট্রেনের ৫০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। যাত্রীকে আবশ্যই মাস্ক পরে স্টেশন এলাকায় বা ট্রেনে প্রবেশ করতে হবে। ট্রেনের অভ্যন্তরে নির্দিষ্ট আসনে অবস্থান করতে হবে। ট্রেনে ওঠানামায় নির্দিষ্ট দরজা ব্যবহার করতে হবে।’

এছাড়া ট্রেনে খাবার সরবরাহ বন্ধ থাকায় যাত্রীদের প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানীয় সঙ্গে নেওয়া ও তাপমাত্রা পরিমাপের সুবিধার্থে ট্রেন ছাড়ার কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে স্টেশনে পৌঁছাতে হবে বলেও জানিয়েছেন রেলের মহাপরিচালক।

(ঢাকাটাইমস/০৩জুন/ডিএম)