স্বাস্থ্যকর্মী ও তিতুমীর কলেজ কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৩ জুন ২০২০, ২০:৩৫

করোনার নমুনা সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে তিতুমীর কলেজের কর্মচারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনার পর ক্যাম্পাসে উত্তেজনা থাকলেও বুধবার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে। এই সংকটকালে পুলিশের পক্ষ থেকে উভয়কে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেকেজি হেলথকেয়ার ও কলেজটির কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হন।

জানা যায়, বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো তিতুমীর সরকারি কলেজ বন্ধ রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিঠি পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির কয়েকটি ভবনে জেকেজি হেলথকেয়ারের প্রায় দুইশ কর্মীকে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন বুথে করোনার নমুনা সংগ্রহের কাজ করছে।

সোমবার রাতে জেকেজির এক নারী কর্মী আরেক ভবনে থাকা পুরুষ সহকর্মীর সঙ্গে দেখা করতে যেতে চাইলে কলেজের কর্মচারীরা তাতে বাধা দেয়। এর জের ধরে মঙ্গলবার রাতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এতে দুইপক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। ওই ঘটনার পরপরই জেকেজির কর্মীরা কলেজ ক্যাম্পাসের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। তবে বুধবার পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে।

কলেজ এবং হোস্টেল বন্ধ থাকায় সেখানে ছাত্র-শিক্ষক কেউ না থাকলেও তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীর ২০-২২ জন কর্মচারী আছেন। তাদের কারো কারো সঙ্গে পরিবারও থাকে। তাদের সঙ্গে মূলত এই সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।

তবে সংঘর্ষের জন্য জেকেজির কর্মীদের দায়ী করে কলেজ অধ্যক্ষ আশরাফ হোসেন। তিনি গণমাধ্যমে বলেন, তারা (জেকেজির স্বাস্থ্যকর্মীরা) বাইরে থেকে সন্ত্রাসী এনে আমাদের স্বল্পসংখ্যক কর্মচারীর ওপর হামলা চালিয়েছে। কর্মচারীদের বাড়িঘর তছনছ করেছে। কলেজের গাড়িচালক সাহাবুদ্দিনের হাতে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে।’

কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছেন জেকেজি হেলথ কেয়ারের আহ্বায়ক ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘কলেজ কর্মচারীরা তাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিতে চায়। সেজন্য তারা নানা ছুঁতো খোঁজে। তাই কলেজের কর্মচারীরা রাতে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। হুমায়ুন নামে একজনকে তারা গুরুতর জখম করে। এসব কর্মচারী এবং তাদের বাহিনীর হামলায় আমাদের ১০ জন এখন হাসপাতালে ভর্তি। যারা আছেন তারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। এমনকি প্রায় হোস্টেলের পানির লাইন, বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের সেবা দিতে যাওয়া কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ছে।’

বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নূরে আযম মিয়া ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘উভয়পক্ষকে বুঝিয়ে শান্ত রাখা হয়েছে। জানতে পেরেছি গতরাতে সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত আছেন। তবে এখন পরিস্থিতি শান্ত।’

(ঢাকাটাইমস/৩জুন/এসএস/এইচএফ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :