নবীনগরে দুপক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৪০, আটক ১২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পুলিশসহ ৪০ জন আহত হয়েছেন। বুধবারের এ ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এলাকায় লুটপাট ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় নবীনগর থানায় কোনো মামলা হয়নি।

উপজেলার সাহেবনগর গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে  বুধবার সকালে রিপন মিয়া ও নান্নু মিয়ার দলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-স্বস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৪০ জন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় পাঁচজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতরা হলেন মো. রব্বানি মিয়া (৪৫), কাউছার মিয়া (৩৮), কালু মিয়া (৪২), হাফিজ মিয়া(৪৬), জাহাঙ্গীর মিয়া(৪১), আওয়াল মিয়া (৪০), সামদানি (৩১), শামিম মিয়া (২৯), ওবাইদুল্লাহ(৩৩) ও এনাম মিয়া(৫০)।

এ ঘটনায় নবীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আতিকসহ উভয়পক্ষের ১২ জনকে আটক করেছেন। এলাকায় লুটপাটের ঘটনা ও সার্বিক  পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে পুকুরে মাছ ধরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাহেবনগর বাজারে হোসেন আলি বাড়ির মোহাম্মদ রাব্বানি মিয়াকে মাইনুদ্দিন বাড়ির আপন মিয়ার ছেলে সুমন মিয়ার লোকজন মারধর করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নবীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক রুহুল আমিন বলেন, এ ঘটনায় আমরা একজন ইউপি সদস্যসহ ১২ জনকে আটক করেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মামলার বিষয়ে জানাতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমাদের নিকট কেউ এখনো অভিযোগ দেননি।

(ঢাকাটাইমস/৩জুন/কেএম)