করোনায় উন্নত বিশ্বকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান

প্রকাশ | ০৪ জুন ২০২০, ১৩:২৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

করোনাভাইরাসে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোকে দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক আচরণের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
বুধবার এসজিডি অর্থায়নের সমমনা দেশগুলো আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ কালীন ও তৎপরবর্তী সময়ে এসডিজি অর্থায়ন’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সভায় বাংলাদেশি দূত এই আহ্বান জানান।  
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘এটি অর্থনীতি বা বাণিজ্য সংরক্ষণবাদের সময় নয়। স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে তাদের পূর্ব-প্রতিশ্রুত বাজারে অবাধ প্রবেশাধিকার দিতে হবে। এর ভয়াবহ প্রভাবের ফলে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে ব্যাপকহারে কারখানা শ্রমিকরা চাকরি হারাচ্ছেন।’
করোনার প্রভাবে আগামী কয়েক বছর ধরে নাজুক দেশগুলোর জনগণ ও অর্থনীতিকে বহন করতে হবে যোগ করেন রাবাব ফাতিমা।
বাংলাদেশের মতো দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ হ্রাস এবং অভিবাসী শ্রমিকদের প্রত্যাবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মতো নেতিবাচক পরিস্থিতির উদাহরণ টেনে বাংলাদেশি দূত বলেন, ‘আজ অভিবাসীরা স্বাস্থ্য, আর্থ-সামাজিক এবং সুরক্ষাজনিত সঙ্কটের মধ্যে পড়েছেন।’
এ সময় তিনি অভিবাসী গ্রহণকারী দেশগুলো এই সঙ্কট মোকাবিলা ও উত্তরণে যেসব পরিকল্পনা গ্রহণ করছে তাতে অভিবাসীদেরও অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি তাদের অধিকার রক্ষার অনুরোধ করেন।  
করোনা মহামারিতে দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন খাতের পাশাপাশি গ্রুপভিত্তিক সহায়তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার ১২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তা উল্লেখ করেন স্থায়ী প্রতিনিধি। তিনি বলেন, এই প্রণোদনা প্যাকেজ দেশের জিডিপির ৩ দশমিক ৭ ভাগ। অপ্রত্যাশিত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে আরও শক্তিশালী বৈশ্বিক সংহতি ও সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
রাবাব ফাতিমা করোনাজনিত বৈশ্বিক মহামারির প্রেক্ষাপটে ‘বিপর্যস্ত গ্লোবাল ভ্যালু চেইন’-এর চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন।
 এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশি স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ‘কোভিড-১৯-এর মতো মহামারি থেকে টেকসই প্রত্যাবর্তন অর্থাৎ এই দুর্যোগ মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা অর্জন করতে বৈশ্বিক অর্থায়ন প্রক্রিয়াগুলোতে নাজুক উন্নয়নশীল দেশগুলোর ন্যায়সঙ্গত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই দেশগুলোতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন গতি সঞ্চার করতে বেসরকারি ঋণদানকারীর পাশাপাশি ব্যক্তিগত অলস মূলধনও রাখতে পারে কার্যকর ভূমিকা।’
(ঢাকাটাইমস/৪জুন/এনআই/এইচএফ)