লালা ব্যবহার ছাড়াও রিভার্স সুইং করা সম্ভব: শামি

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৪ জুন ২০২০, ২১:২৮ | প্রকাশিত : ০৪ জুন ২০২০, ১৭:২১

করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে ক্রিকেটেও কিছু অদলবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে বলের থুতু বা লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ করার মতো প্রস্তাব। আর এর জেরে বোলারদের রিভার্স সুইংয়ের শিল্প হারিয়ে যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা। যদিও ভারতের স্পিডস্টার মোহাম্মদ শামি বলছেন, লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়ার পরও তিনি রিভার্স সুইং করাতে পারেন যদি বলের পালিশের উজ্জ্বলতা বজায় রাখা যায়।

বলে থুতুর ব্যবহারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। এজন্য লকডাউনের পর যখন ক্রিকেট ফের ২২ গজে ফিরবে, তখন আইসিসি বলের পালিশ উজ্জ্বল করতে থুতুর ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে চলেছে।

রোহিত জুগলানের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম চ্যাটের সময় ভারতের পেস বোলিং আক্রমণের অন্যতম ভরসা শামি বলেছেন, কাজটা কঠিন হবে। শামি বলেন, ‘ছোট থেকেই আমরা থুতু ব্যবহার করতে অভ্যস্ত। এই অভ্যেস খুবই গভীর... কেউ ফাস্ট বোলার হলে অভ্যেস বশেই বল উজ্জ্বল করতে থুতুর ব্যবহার করে। তবে বল শুকনো থাকলেও পালসিশের উজ্জ্বলতা যদি থাকে, তাহলে রিভার্স সুইং অবশ্যই সম্ভব।’

আইসিসির অনিল কুম্বলের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেক কমিটি অবশ্য বলেছে যে, বল পালিশ করতে প্লেয়াররা ঘাম ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু তা ফাস্ট বোলারদের খুব একটা কাজে আসবে বলে মনে করছেন না শামি।

শামি বলেছেন, ‘ঘাম আর থুতু ভিন্নভাবে কাজ করে। এটা কোনও সাহায্য করবে বলে মনে হয় না। আমি থুতু ছাড়া বোলিংয়ের চেষ্টা কখনও করিনি। কিন্তু কোভিড-১৯ এর পর থুতুর ব্যবহার না করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

এর পাশাপাশি শামি ভারতীয় দলের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, মাঠে ও মাঠের বাইরে দলের খেলোয়াড়রা মহেন্দ্র সিংহ ধোনির অভাব অনুভব করে। তিনি বলেছেন, আইপিএল ছাড়া বিভিন্ন ফর্ম্যাটে আমি ধোনির নেতৃত্বে খেলেছি। পরামর্শ দেওযার ক্ষেত্রে সহ খেলোয়াড়দের সঙ্গে ধোনি এমনভাবে ব্যবহার করে, তা দেখলে বোঝাই যাবে না যে, ও এমএস ধোনি। ও দুর্দান্ত প্লেয়ার। ওর সম্পর্কে আমার প্রচুর স্মৃতি রয়েছে। আমরা এখনও ভাবি যে, মাহি ভাই আসবে এবং বেশ মজা করে খেলা যাবে।

২০১৯-এর বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে ভারতের বিদায়ের পর ধোনি সাময়িক বিরতি নিয়েছিলেন। তারপর থেকে আর নীল জার্সিতে দেখা যায়নি ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ককে। আইপিএলে বাইশ গজে তাঁর প্রত্যাবর্তনের কথা ছিল। কিন্তু করোনা সংক্রান্ত লকডাউনের জেরে ওই টুর্নামেন্টই অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গিয়েছে। শামি বলেছেন, ‘ধোনির একটা ব্যাপার আমার খুব ভালো লাগে..ও সবার সঙ্গে বসে এবং একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করে। ওর সঙ্গে সবসময়ই দুই-চারজন থাকে। আমরা রাত পর্যন্ত গল্প করি। এখন এসব খুব মিস করি।’

করোনা সংকটের জেরে অস্ট্রেলিয়ায় টি ২০ বিশ্বকাপের আয়োজন ঘিরেও অনিশ্চয়তা। শামি এ ব্যাপারে বলেছেন, দুম করে বিশ্বকাপ খেলতে নেমে পড়াটা কোনও কাজের কথা নয়। তিনি বলেছেন,সরাসরি বিশ্বকাপে নামার আগে প্লেয়াররা একটা টুর্নামেন্ট খেলার দিকে তাকিয়ে থাকবে। শামি বলেছেন, ‘আমরা তো মেশিন নই যে সুইচ অন, অফ করলেই হয়। খেলোয়াড় হিসেবে শরীরকে ছন্দে আনতে হবে। এই পর্বে কেউই ব্যাট বা বল স্পর্শ করেনি। তাই ১০-১৫ দিনের ক্যাম্প বা কয়েকটি সিরিজ বিশ্বকাপের আগে প্লেয়ারদের সহায়ক হবে এবং স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাবে।’

চার টেস্টের সিরিজের জন্য অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে খেলতে তিনি মুখিয়ে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন শামি।

(ঢাকাটাইমস/০৪ জুন/এআইএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

খেলাধুলা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :