ঘরে থেকেও যে কারণে আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্করা

প্রকাশ | ০৪ জুন ২০২০, ১৮:৪২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

করোনায় কম বয়সীদের চেয়ে বয়স্ক ব্যক্তিদের ঝুঁকি বেশি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বরাবরই বলে আসছেন এই কথা। এখন পর্যন্ত বয়স্কদের মধ্য মৃত্যুর হারও কম বয়সীদের চেয়ে বেশি। ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বলা হচ্ছে ঘরে থাকতে। নিয়ম মেনে ঘরে থাকার পরও বয়স্ক ব্যক্তিরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এর পেছনে কী কারণ?
জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘বাসার অন্য সদস্যরা বাইরে যাচ্ছেন এবং ফিরে এসে তারা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের কাছে যাচ্ছেন। সে কারণেই বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিরা আক্রান্ত হচ্ছেন।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে তিনি এ কথা জানান।
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘যত দূর সম্ভব শারীরিক দূরুত্ব বজায় রেখে চলুন। কমপক্ষে তিন ফুট শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে চলুন। আমাদের বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তিদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে এ কারণেই যে, অনেকে বাসায় থাকার পরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। বাসার অন্য সদস্যরা বাইরে যাচ্ছেন এবং ফিরে এসে তারা বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের কাছে যাচ্ছেন। সে কারণেই বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে আমরা বাইরে থেকে এসে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের সামনে যাওয়ার আগে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে, হাত বারবার সাবান দিয়ে ধুতে হবে। এসব বিষয় খেয়াল রেখেই বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের কাছে যাওয়া উচিত। তাহলেই আমরা তাদের সুরক্ষিত রাখতে পারব।’
মহামারি করোনার সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে সুস্থ, সবল সবাইকে মাস্ক পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উচ্চ পদস্থ এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকেই মাস্ক ব্যবহার করব। মাস্ক তারাই ব্যবহার করতে পারবেন না, যারা নিজে এই মাস্ক পরতে পারেন না। যেমন অজ্ঞান ব্যক্তি, যারা প্রতিবন্ধী এবং দুই বছরের নিচে কম বয়সী শিশু। যারা মাস্ক নিজেরা খুলতে পারবেন না, তারা ছাড়া প্রত্যেকেই মাস্ক ব্যবহার করুন। মাস্ক একটি বড় হাতিয়ার এই করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।'
(ঢাকাটাইমস/৪জুন/বিইউ/এইচএফ)