গর্ভবতী হাতি হত্যায় ক্ষুব্ধ টলিউড

বিনোদন ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ০৫ জুন ২০২০, ১১:০৬

বলিউড সিনেমা ‘হাতি মেরে সাথী’র ডায়ালগ এখনও মানুষের মুখে মুখে। হাতিকে নিয়ে সে যতই ব্যাঙ্গ করা হোক না কেন, হাতিও যে পোষ মানে তা রাজেশ খান্নার সেই সিনেমা দেখে তাজ্জব বনে গিয়েছিলেন মানুষ। তাজ্জব বনে যাওয়া সেই মানুষই এবার নৃশংসভাবে খুন করছে হাতি। মানুষ কিনা, তাই সহজেই সব কিছু ভুলে যাওয়া যায়।

গত কয়েকদিন ধরে ভারতের কেরায় এক গর্ভবর্তী হাতির মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন আমজনতা থেকে বলিউডের বহু তারকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন টলিউডের তারকারাও। তাদেরই একজন অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী। সকলের মতো মন কাঁদছে তারও।

মারা যাওয়া গর্ভবর্তী হাতিটিকে উদ্দেশ্য করে শুভশ্রী তার সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘আমিও মা হতে চলেছি। তাই তোমার প্রতিটা মুহূর্তের কষ্ট আমি অনুভব করতে পারছি। আমাদের ক্ষমা কোরো না। বরং অভিশাপ দাও। আমরা মানুষরা এটুকুরই উপযুক্ত।’

শুভশ্রীর স্বামী পরিচালক রাজ চক্রবর্তী লেখেন, ‘মানুষ আদতে শয়তানের প্রতিমূর্তি। হয়তো বা তার থেকেও ঘৃণ্য কিছু। কীভাবে থামবে এই অপরাধ প্রবণতা। ভাবতেই পারছি না। নিজেদের দোষেই আমরা একদিন ধ্বংস হয়ে যাবো। এমন কান্ড যারা ঘটালো, তাদের কঠোর এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।’

ঘটনায় নির্বাক অভিনেত্রী ও সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। পশুরক্ষা আইন নিয়ে তিনি একাধিকবার সংসদে সরব হয়েছেন। মিমি লিখেছেন, ‘আমার বলার মতো কোনো শব্দ নেই।’

বনমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের উদ্দেশ্যে তিনি লেখেন, ‘কেরালার প্রচুর মন্দিরে চেন দিয়ে হাতিকে বেঁধে রাখা সেখানকার রীতি। সেই অবস্থাতেই তাদের মৃত্যু হয়। কিন্তু কোনো দিন সেই বিষয়ে কেউ মুখ খোলেনি। প্রতি বছর হাজার হাজার হাতিকে এভাবে বেঁধে রাখা হচ্ছে। হাতিমুক্ত বনাঞ্চলে অভ্যস্ত। দয়া করে ওদের আবাসস্থল সুরক্ষিত করুন।’

পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘আমরা সত্যিই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার যোগ্য।’

প্রসঙ্গত, গর্ভবতী হাতিটি বন থেকে লোকালয়ে চলে এলেও সে মানুষকে অত্যন্ত বিশ্বাস করত। তাই মানুষের দেয়া বাজি ভরা আনারস খেয়েও লোকালয়ে ছটফট করে বেড়িয়েছে। কিন্তু কোনো বাড়ি বা মানুষের ছিটেফোঁটাও ক্ষতি করেনি। আসলে বনে খাবারের অভাবে সে ঢুকে পড়েছিল লোকালয়ে। খাবারের খোঁজ করছিল।

সেই সময়ই তার মুখে তুলে দেয়া হয় বাজি ভর্তি আনারস। নিজের আর পেটের সন্তানের জন্য সেই আনারসটি খেয়ে নেয় সে। এর পরই হঠাৎ তার মুখে বিস্ফোরণ হয়। ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় মুখ ও জিভ। অসহ্য যন্ত্রণা এবং খিদে নিয়ে সারা গ্রাম হেঁটে বেড়ায়। পানির খোঁজে পৌঁছে যায় নদীতে। মাঝ নদীতে দাঁড়িয়ে থাকে সে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

ঢাকাটাইমস/০৫জুন/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :