ঘরবন্দি অবস্থা মানুষের কল্যাণ বয়ে এনেছে!

ঢাকা টাইমস ডেস্ক
| আপডেট : ০৫ জুন ২০২০, ১১:১৯ | প্রকাশিত : ০৫ জুন ২০২০, ১১:১০

চিকেন পক্স হোক কিংবা পানিবাহিত কোনো রোগ অথবা পথ দুর্ঘটনা- সবই যেন নাগরিক জীবন থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকদের একটি বড় অংশের ধারণা, কোভিড-১৯ আতঙ্কে মানুষের দীর্ঘ সময় বাড়িতে থাকা এবং বাইরের খাবার এড়িয়ে চলাই এর প্রধান কারণ। ফলে করোনা মানুষের জীবনে অভিশাপ, না কি শাপে বর, তা নিয়েও চলছে আলোচনা।

চিকিৎসকদের একটি অংশের মতে, খাবারে বিষক্রিয়ার কারণে অসুস্থতা ও ফুসফুসের সমস্যা এখন অনেকটাই কম। যদিও অন্য অংশ মনে করেন, লকডাউন এবং কোভিড-১৯ আতঙ্কে মানুষ চিকিৎসক এবং হাসপাতালমুখী হতে না চাওয়ায় অসুখের খবর সামনে আসছে না।

ভারতের সরকারি হাসপাতালের হিসেব বলছে, অন্যান্য অসুস্থতা এবং দুর্ঘটনার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। তবে অতিরিক্ত মোবাইল এবং কম্পিউটারের ব্যবহারের কারণে ছোটদের ঘুমের ঘাটতি হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

কলকাতার মেডিসিনের চিকিৎসক শ্যামাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিমত, প্রতি বছর এই সময়ে তার অধীনে অন্তত ২০ জন টাইফয়েডের রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। এ বার এক জনও আসেননি। তার কথায়, “জন্ডিস এবং ডায়রিয়ার মতো জলবাহিত অসুখ কিংবা পথ দুর্ঘটনার রোগী এখন কম। গরমের শুরুতে যে চিকেন পক্সের প্রাদুর্ভাব হয়, তেমন রোগীও প্রায় আসেননি।”

আরেক চিকিৎসক জানান, “খাবারে বিষক্রিয়া এবং জলবাহিত অসুখ, যেমন জন্ডিস, হেপাটাইটিস, ডায়রিয়া, বমির সমস্যা নিয়ে আসা রোগী এখনও খুব কম। অ্যালকোহলের জন্য হেপাটাইটিস, প্যাংক্রিয়াটাইটিসের যে সমস্যা প্রতি বছর সামনে আসে, তা-ও এই সময়ে কম। মূলত লকডাউনের দ্বিতীয় মাস থেকে এই পরিবর্তন লক্ষণীয়।”

চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী বলছেন, “কোভিডের ভয়ে তো রোগী এবং চিকিৎসক, পরস্পরের থেকে দূরে সরে আছেন। রোগীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়ে রয়েছে ডাক্তারদের। এমন অবস্থায় অন্য অসুখ বেড়েছে না কমেছে, তা বলার মতো পরিস্থিতি নেই।”

শিশুরোগ চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষ মানছেন, লকডাউন চলাকালীন ঘরবন্দি ও নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের ফলে রোগের বিস্তার কমেছে। দূষণ হ্রাস পাওয়ায় ছোটদের মধ্যে শ্বাসকষ্টজনিত অসুখ, ডায়রিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিস অনেক কমেছে। ফোনে বাবা-মায়েরা মূলত অভিযোগ করছেন, শিশুদের ঘুমের সমস্যা নিয়ে। আর কিছু পেটের অসুখের রোগী আসছে। সেটা নিতান্তই বাড়িতে ভূরিভোজ করার ফল।’

চিকিৎসকরা জানান, লকডাউন শিথিল হলেও স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বারবার হাত ধোয়া, মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়গুলিও মনে রাখতে হবে। ফাস্ট ফুড বা বাইরের খাবারও এড়িয়ে চলতে হবে। করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর পাশাপাশি পেটের অসুখ, ফুসফুসের অসুখ নিয়ন্ত্রণেও এই সচেতনতা কাজে আসবে। সূত্র: আনন্দবাজার

ঢাকা টাইমস/০৫জুন/একে

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

ফিচার এর সর্বশেষ

কিডনি রোগ বাড়ছে শিশুদেরও! যেসব লক্ষণ দেখলেই সতর্কতা জরুরি

সস্তার পেয়ারার গুণে বশে থাকে ডায়াবেটিস-উচ্চ রক্তচাপসহ নানা জটিল রোগ

যে পাঁচ সমস্যায় আক্রান্তরা গুড় খাওয়ার আগে একবার ভাবুন, নইলে...

সাজেদুর রহমান শাফায়েতের স্বপ্ন পৃথিবী ঘুরে দেখা

খাওয়ার পরপরই চা পান উপকার না ক্ষতি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

জ্বরের মধ্যে যে পাঁচ খাবার খেলেই বিপদ! জানুন, সাবধান হোন

গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে ডায়াবেটিস রোগীদের! সুস্থ থাকবেন যেভাবে

মুখে দুর্গন্ধের কারণে হা করতেও অস্বস্তি লাগে? সমাধান কী জানুন

লিভার ভালো রাখে লাউ! ওজন এবং উচ্চ রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে

কিডনি ভালো রাখে আমের পাতা! উচ্চ রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :