করোনায় নিঃসঙ্গ বৃদ্ধা সখিনাকে দেখার কেউ নেই

প্রকাশ | ০৬ জুন ২০২০, ১৩:২২

অরিন্দম মাহমুদ, ধামইরহাট (নওগাঁ)

করোনায় স্তদ্ধ পৃথিবী। দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্যের চাকায় নেমে এসেছে অনিশ্চয়তা। করোনার বিষাক্ত ছোবলে আতঙ্কিত মানুষ। বয়ো:বৃদ্ধরা হয়ে পড়েছেন নিঃসঙ্গ। এমনই এক বৃদ্ধা সখিনা বেওয়া। ৬৫ বছরের এ বৃদ্ধার ভিটে মাটিহীন এক চিলতে জমিও নেই। তাই রাত কাটে এর ওর বাড়িতে আবার কখনো কখনো খোলা আকাশের নিচে। ইদানিং চোখে কম দেখায় কোন কাজও করতে পারেন না তিনি। তাই খাবারের জন্য মানুষের বাড়ি বাড়ি ছুটে চলেন দীর্ঘপথ।

নওগাঁর ধামইরহাট পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের টিএনটি পাড়ার বাসিন্দার এ বৃদ্ধার সঙ্গে দেখা হলে হাউমাউ করে কেঁদে বলেন, ‘বাও মোক এনা কেউ চাউল দিলনা বা, কত মানুষক দেছে মোক এনা চাল নিয়ে দি বা।’  

চোখের জল মুছতে মুছতে সখিনা বিবি বললেন, ‘মোর বড়োই দুঃসময় যাছে বা। বয়সটাও কাড়ে নিছে শরীরের শক্তি, কাম করা আর পারোনা। চাল, ডাল না পালে না খেয়ে মরবা হবে। মেলা মানুষের নামের তালিকা হলেও মোর নাম খাতায় লেখা পরেনা। বয়স বেশি হলে মানুষ এভাবেই বুঝি আস্তাকুড়ে পড়ে থাকে।’

বৃদ্ধা জানান, একসময় দাপিয়ে কাজ করে সংসারের হাল ধরেছিলেন তিনি। তার এক মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে মেয়েটি দশ বছর আগে অসুখে মারা যায়। ছেলে বউ নিয়ে হয়েছে ঘড়জামাই। তাই বেঁচে থাকার জন্য অসহায় হয়ে মাঝেমধ্যে পরিচিত অপরিচিত মানুষের কাছ থেকে দু’এক টাকা অথবা চাল চেয়ে নেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার ইব্রাহীম হোসেনের সঙ্গে কয়েকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ঢাকাটাইমস/৬জুন/পিএল