শ্রমিক ছাঁটাইয়ের বিষয়ে রুবানার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিল বিজিএমইএ

প্রকাশ | ০৬ জুন ২০২০, ১৮:০৪ | আপডেট: ০৬ জুন ২০২০, ১৮:৫০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

জুন থেকে শ্রমিক ছাঁটাই হবে বলে বিজিএমইএ সভাপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন নানা সমালোচনার মধ্যে সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ এই সংগঠন।

বিজিএমইএর ভাষ্য, সভাপতি রুবানা হক কর্মসংস্থান হ্রাস পাওয়া এবং সম্ভাব্য শ্রমিক ছাঁটাই বিষয়ে তার গভীর উদ্বেগ ও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু বিষয়টি বস্তুনিষ্ঠভাবে উপস্থাপিত হয়নি।

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ব্যাখ্যা দিয়ে বিজিএমইএ বলেছে, শ্রমিক ছাঁটাইয়ের বিষয়ে সংগঠন হিসেবে এ ধরনের ঘোষণা দেওয়ার কোনো সুযোগও তাদের নেই।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক জুন থেকে শ্রমিক ছাঁটাই হবে বলে আভাস দেন। তার ওই বক্তব্য গণমাধ্যমে আসার পর তা নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। বিভিন্ন সংগঠন থেকে আসতে থাকে প্রতিবাদ।

এদেক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএ জানিয়েছে, চলতি অর্থ বছরের প্রথম দশ মাসে (জুলাই ২০১৯-এপ্রিল ২০২০) পোশাক শিল্পে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ঋণাত্মক ১৪ শতাংশ, যা গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি।

এছাড়া তারা আরো ব্যাখ্যা দেয়, ১ থেকে ২০ মে পর্যন্ত সময়ে এ শিল্পে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ঋণাত্মক ৫৫ দশমিক ৭ শতাংশ। গত মার্চ থেকে এ পর্যন্ত পোশাক শিল্পে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অধিক ক্রয়াদেশ বাতিল হয়ে গেছে। পোশাক শিল্পের আন্তর্জাতিক বাজারগুলো কোভিড-১৯ এর প্রভাবে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। কোভিড-১৯ এর কারণে অনেক বড় বড় ক্রেতা দেউলিয়াত্বও বরণ করেছে।

বিজিএমইএ জানায়, চলমান পরিস্থিতিতে প্রকৃতপক্ষে, কোনো কারখানাই সামর্থ্যের শতভাগ ব্যবহার করতে পারছে না। ৩৫ শতাংশ সক্ষমতায় কারখানা সচল রেখেছে, এমন ঘটনাও আছে। বড় কারখানাগুলোও ৬০ শতাংশের বেশি সক্ষমতা ব্যবহার করতে পারছে না। পোশাক কারখানাগুলো গড়ে ৫৫ শতাংশ সক্ষমতা ব্যবহার করে কোনরকমে উৎপাদন কার্যক্রম চালু রাখছে। জুলাই পরিস্থিতি এখনই অনুমান করা কঠিন। উদ্যোক্তারা আশঙ্কা করছেন, সামনের দিনগুলো পোশাক শিল্পের জন্য আরো চ্যালেঞ্জময় হবে।

সরকার ঘোষিত প্রণোদনার বিষয়ে বিজিএমইএ বলেছে, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সহজ শর্ত ঋণের ৫ হাজার কোটি টাকার পুরোটাই সরাসরি শ্রমিকদের ব্যাংক অ্যকাউস্ট বা মোবাইল অ্যকাউন্টে দেওয়া হচ্ছে। পোশাক খাত প্রতিমাসে মজুরি পরিশোধ করে থাকে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার।

তারা আরো জানায়, সমস্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে কারখানা বন্ধ বা সামর্থ্য কমে যাওয়ার (Capacity reduction) প্রেক্ষাপটে শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের কথা ভেবে বিজিএমইএ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। শুধু পোশাকখাত নয়, সব খাতেই কর্মসংস্থান হ্রাস পাচ্ছে।

এছাড়া কোনো কারখানা যদি উপরোক্ত পরিস্থিতির শিকার হয় সেক্ষেত্রে মালিক ও শ্রমিক উভয়ই শ্রম আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন বলে প্রত্যাশা করে বিজিএমইএ।

(ঢাকাটাইমস/৬জুন/জেআর/ডিএম)