ঢাকায় লাখে ৩০ জন আক্রান্ত হলে এলাকা লকডাউন
কোভিড-১৯ তথা করোনায় সংক্রমণের কেন্দ্র বিবেচনায় এলাকাভিত্তিক লকডাউনের পথে যাচ্ছে সরকার। দুই একদিনের মধ্যে ঢাকার কিছু এলাকায় ‘পাইলট ভিত্তিতে’ লকডাউন শুরু করা হবে।
এক্ষেত্রে কোনো এলাকায় প্রতি এক লাখ বাসিন্দার মধ্যে ৩০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী থাকলে সেই এলাকা লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছে মহামারি মোকাবেলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল উপদেষ্টা কমিটি।
রবিবার এ সংক্রান্ত বিষয়ে উপদেষ্টা কমিটির পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়া হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। লকডাউনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
গত ৮ মার্চ কোভিড-১৯ আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্তের চার মাসের মাথায় এসে এই মহামারীর বিস্তারে বিশ্বের শীর্ষ ২০ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ঢুকে পড়ার পর ঝুঁকি বিবেচনায় এলাকাভিত্তিক লকডাউন করার পথে সরকার।
জানা গেছে, জাতীয় টেকনিক্যাল উপদেষ্টা কমিটি ঢাকার যেসব এলাকায় প্রতি এক লাখ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৩০ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী আছে, সেসব এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করে লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছে।
আর ঢাকার বাইরে এলাকাগুলোতে প্রতি এক লাখ বাসিন্দার মধ্যে ১০ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত এলাকাকে লকডাউন করার পরামর্শ রয়েছে এই কমিটির। এর চেয়ে কম আক্রান্ত রোগী থাকা এলাকাগুলোকে পর্যায়ক্রমে 'হলুদ' এবং 'সবুজ' জোনে ভাগ করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার কক্সবাজার পৌর এলাকাকে দেশের প্রথম করোনা রেড জোন ঘোষণা দেয় স্থানীয় প্রশাসন। পৌরসভার ১০টি ওয়ার্ডকে ১০ দিনের জন্য পুরোপুরি লকডাউন করা হয়।
উল্লেখ্য, দেশে এখন প্রতি পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষায় একজন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শনিবার সকাল পর্যন্ত নতুন করে ২ হাজার ৬৩৫ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। এ নিয়ে প্রাণ সংহারক এই ব্যাধিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ হাজার ২৬ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ৮৪৬ জনের।
(ঢাকাটাইমস/০৬জুন/ডিএম)