রাণীনগরে সরকারি চাল নিয়ে সংঘর্ষ, পাঁচজন আহত

প্রকাশ | ০৬ জুন ২০২০, ২১:০২

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নওগাঁর রাণীনগরে দরিদ্রদের জন্য সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের চাল নিয়ে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এতে ডিলারসহ দুই পক্ষের পাঁচজন আহত হয়েছেন। শনিবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের রাণীনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, রাণীনগর সদর খট্টেশ্বর ইউনিয়নের হত-দরিদ্রদের জন্য সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা  কেজি দরের চালের ডিলার এসএম শরিফ উদ্দিন গত ৩১ মে এলাকার বেশ কিছু কার্ডধারীর মধ্যে চাল বিতরণ করেন। এ সময় উপজেলা সদরের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের কার্ডধারী আব্দুর রউফ রতন ও তার ভাই আশরাফুল ইসলাম মিঠুকে দুই কার্ডের বিপরীতে ৬০ কেজির পরিবর্তে পাঁচ মন চাল দেন। ৬০ কেজির পর অতিরিক্ত প্রতি কেজি চালের দাম ৩০ টাকা হিসাবে নিবেন এমনটি জানালে মিঠু ও রতন ১০ টাকা কেজি দিতে চান। এতে ডিলার শরিফ চাল ফেরত নিবেন জানালে উভয় পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে শনিবার সকালে দক্ষিণ রাজাপুর মোড়ে চাল নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।

একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে আশরাফুল ইসলাম মিঠু ও তার ছোট ভাই আব্দুর রউফ এবং ডিলার এসএম শরিফ উদ্দিন, তার ছোট ভাই মোহাতাব হোসেন, মোহাতাবের ছেলে আবু সাইদ মৃদুল আহত হয়। আহতদের রাণীনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, ডিলার শরিফ উদ্দিনের গুদাম ঘরে কালোবাজারে বিক্রির জন্য চাল মজুদের অভিযোগে গত ৩০ মে দুপুরে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গুদাম ঘর তল্লাশি করে চাল পায়। কিন্তু চাল ৩১ মে পর্যন্ত বিতরণ করা হবে এবং গ্রাহকরা আসেনি, এমনটি জানালে ম্যাজিস্ট্রেট ফিরে যান। 

এ বিষয়ে আহত মিঠু বলেন, আমরা দুই ভাই মিলে চাল ৩০ কেজি করে মোট ৬০ কেজি চাল পাবো। কিন্তু আমাদেরকে পাঁচ মণ চাল দেয়া হয়েছে। পরের দিন অতিরিক্ত চাল ৩০ টাকা কেজি দরে চেয়েছে। আমরা ১০ টাকা দরে দিতে চাইলে মতবিরোধ হয়।

তিনি বলেন, শনিবার সকালে চা-স্টলে এলে আবারো ৩০ টাকা কেজি দরে চালের টাকা দাবি করেন শরিফ। দাবিকৃত  টাকা না দিলে চাল ফেরত নেবেন বলে তিনি জানান।  বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে শরিফ ও তার লোকজন আমাদেরকে মারপিট করে আহত করেন।

শরীফ উদ্দিন বলেন, তাদের সঙ্গে পারিবারিক ঝামেলায় মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। চাল নিয়ে কোন দ্বন্দ্ব হয়নি।

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, চাল নিয়ে মারপিটের ঘটনার বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাণীনগর থানার ওসি জহুরুল হক বলেন, মারপিটের ঘটনায় উভয় পক্ষকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/৬জুন/কেএম)