টানা বৃষ্টিতে মরিচ চাষিদের বিপর্যয়

বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও
 | প্রকাশিত : ০৭ জুন ২০২০, ১১:৪৮

আম্পান ও নিম্নচাপজনিত কারণে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন ঠাকুরগাঁও এর মরিচ চাষিরা। একদিকে ক্ষেতের পাকা মরিচ তোলা অন্যদিকে আগেই তোলা মরিচ শুকাতে না পারায় বড় ক্ষতির শঙ্কা করছেন তারা। অন্যতম অর্থকরী ফসলের এই বিপর্যয়ের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে জেলার অর্থনীতিতেও।

ঠাকুরগাঁও কুষি নির্ভর জেলা। ধান, গম বা পাটের মত মরিচও সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ ফসল। এবার জেলায় ১০৮৭ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। ফলানো হয়েছিল বেশ ভালোই। কিন্তু আম্পানের কারণে টানা বৃষ্টিপাতে মরিচ তুলতে পারেননি চাষিরা। এছাড়া যারা কিছু তুলেছেন সেগুলো শুকাতে পারেননি ঠিক মতো। তবে সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়েছে জলাবদ্ধতায় গাছ মরে গিয়ে। বেশিরবাগ নিচু জমিতে বৃষ্টির পানি জমে শত শত বিঘার মরিচক্ষেত মরে গেছে।

সদর উপজেলার মরিচ চাষি জহির উদ্দীন বলেন, বৃষ্টির কারণে পানি জমে বেশিরভাগ মরিচ গাছই মরে গেছে। গত বছর এক বিঘা জমিতে ১৫-১৮ মণ মরিচ উঠলেও এ বছর ৪-৫ মণ হচ্ছে না। এর কারণে বিঘা প্রতি ৫০-৬০ হাজার টাকার লোকসান হচ্ছে তাদের।

কৃষক নজিব উদ্দীন জানান, গত বছর তার একবিঘা জমিতে ২৪ মণ মরিচ হয়। বিক্রি হয় ৯২ হাজার টাকা। অথচ ফলনও ভালো হোয়ার পরেও বছর ৫০০০ টাকার মরিচও বিক্রি করতে পারিনি এবছর।

জেলায় এবার উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয় ৭৮২ মেট্রিক টন শুকনা মরিচ। এছাড়াও খরিপ- ১ মওসুমে ৭৬৫ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় আর উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৮০২ মেট্রিক টন মরিচ। এবার আবহাওয়া ভাল থাকায় শুরুতে মরিচের অবস্থা ভাল ছিল। কিন্তু মরিচ তোলার মুহুর্তে আম্পানের প্রভাবে টানা কয়েকদিন বৃষ্টিপাত থাকায় ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে যায় বেশিরভাগ মরিচ।

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন জানান, আম্পানের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মরিচ চাষিদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আগামীতে যেসব প্রনোদনা আসবে তা দিয়ে তাদের পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব।

ঢাকাটাইমস/৭জুন/পিএল

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :