খুদে অভিনয়শিল্পীদের মন খারাপ!

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ জুন ২০২০, ১২:২১

১০ বছরের কমবয়সী খুদে অভিনয়শিল্পীদের আপাতত কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। করোনায় সুস্থতার কথা ভেবেই ছোটদের শুটিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এই ক্ষুদে শিল্পীরা কতটা মিস করছে টলিপাড়া?

একটুও মন ভাল নেই ‘ফিরকি’ আর ‘তারা’র, যাদের পোশাকি নাম মাহি আর গুড্ডি। টানা আড়াই মাস স্কুল বন্ধ, শুটিং বন্ধ ক্লাস ওয়ানে পড়া একরত্তি দুই তারকার। ফোনে ধরতেই উগরে এল একরাশ মনখারাপ! দেখা নেই বন্ধুদের বা শুটিং ফ্লোরের দাদা-দিদিদের। স্কুলে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা! সে তো মনে হয় কবেকার কথা। বড়দের মতো শুটিং করার আনন্দও আর নেই। সময়টা এমন ছিল, ধারাবাহিকে অভিনয় দেখে দেখে এক ডাকে চিনত সবাই রাস্তায় বের হলে।

গত ৪ জুনের বৈঠক ১০ বছরের বেশি বয়সী খুদে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের শুটিংয়ে অনুমতি দিলেও ছাড় দেয়নি আরও ছোটদের। এই সিদ্ধান্ত তাদের সুস্থতার কথা ভেবেই। ‘টুইঙ্কল টুইঙ্কল লিটল স্টার’-রা কি খুশি এই সিদ্ধান্তে?

‘করোনা তাড়াতাড়ি কমুক, আবার শুটিংয়ে যাব’, বলল মাহি (ফিরকি)। লকডাউনে কী করে সময় কাটাচ্ছে মাহি? কান্না কান্না গলায় উত্তর, “ভীষণ, ভীষণ মনখারাপ লাগছে! কবে আবার শুটিংয়ে যেতে পারব? জানো, অভিনয় করতে ভীষণ ভালবাসি। যদিও বেশি সাজুগুজু করতে হত না। মা মুখে পাউডার বুলিয়ে লিপবাম মাখিয়ে দিত। আর আমি ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে পড়তাম। কি মজা হত!

একবার, ঘুমোনোর দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে সত্যিই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম! তারপর করোনা আসতেই সব বন্ধ। কতদিন আমার পর্দার মা ‘লক্ষ্মী’ আর্যাকে দেখিনি! ও আমার খুব ভাল বন্ধু। আগে আর্যা আন্টি বলতাম। ও বলে, আমরা বন্ধু। তুই আমাকে আর্যা বলবি। ফোন করে বলেছে, নতুন ফোন কিনেছে ও। শুট শুরু হলে ওই ফোনে অনেক ছবি তুলব, টিকটক ভিডিও করব, আর্যা বলেছে আমায়। ওর সঙ্গেই তো প্যাকআপ হলে বিরাট মাঠটায় খেলতাম। কিন্তু সে তো এখন ঢের দেরি। বাড়িতে বসে পড়া, টিভি দেখা, ঘুমানো। আর ভাল লাগছে না। তাই রোজ ঘুমাতে যাওয়ার আগে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছি, তাড়াতাড়ি তাড়িয়ে দাও করোনাকে। আমি আবার শুটিং করতে যাব! সব ঠিক হয়ে যাবে তো?

‘করোনা কমলেই আমায় ডাকবে তো?’, পাল্টা প্রশ্নগুড্ডির (নিশির ডাক, তারা)। রাত ১২টার পরে শুতে যাচ্ছে। বেলা ১০টায় ঘুম থেকে উঠছে।এটাই এখন রোজকার রুটিন গুড্ডির। ফোনে অকপটে স্বীকার। সারাদিন কার্টুন শো। সন্ধ্যায় পড়া। মা তাকে সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন।

ফোন আসতেই শুটিং করতে না পারার অভিযোগ ফোনেই জানিয়ে দিল গুড্ডি। সবাই আমাকে কি আদর করত, ভালবাসত! এভাবে বাড়িতে আটকে থাকতে হত না। এভাবে কারো থাকতে ভাল লাগে? বারেবারে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুচ্ছি। মোদিজিকে তুমি একটু বলবে, করোনাকে তাড়িয়ে আমাদের আবার শুটিং করতে দিতে? করোনা কমলে আমায় আবার শুটিংয়ে ডাকবে তো?

এই ক্ষুদে প্রাণের প্রশ্নের উত্তর আপাতত কারও কাছেই নেই। টলিপাড়া তার ছোট্ট ছোট নতুন কুঁড়িগুলোকে বড্ড মিস করবে। ঘুরে যাবে গল্পের চিত্রনাট্য।

ঢাকাটাইমস/৭জুন/এসকেএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :