মশা নিধনে অনিয়ম হলে আমাকে ফোন দিন: মেয়র তাপস

প্রকাশ | ০৭ জুন ২০২০, ১৩:০৫ | আপডেট: ০৭ জুন ২০২০, ১৩:১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মশা নিধন কার্যক্রমে কোনো ধরনের অনিয়ম হলে সরাসরি মেয়রকে ফোন দেয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

রবিবার সকাল ১০টায় ২৩ নং ওয়ার্ডের লালবাগ নবাবগঞ্জ পার্কে বছরব্যাপী সমন্বিত মশক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে মেয়র এ কথা বলেন।

ঢাকা দক্ষিণের মেয়র বলেন, ‘পূর্বের মশক নিধনের লক্ষ্যে গতানুগতিক কার্যক্রমকে উচ্চ থেকে নিচ পর্যন্ত ঢেলে সাজানো হয়েছে। নতুনভাবে গৃহীত এ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন আজ থেকে শুরু হলো। এটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডে একযোগে চলবে।‘

শেখ ফজলে নূর তাপস জানান, প্রতি ওয়ার্ডে ৮ জন মশককর্মী সকাল ৯টা হতে শুরু করে দুপুর ১টা পর্যন্ত লার্ভিসাইডিং করবেন। অন্যদিকে ওয়ার্ড প্রতি ১০ জন মশক ক্রু দুপুর আড়াইটা থেকে শুরু করে বিকাল সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত ফগিং কার্যক্রম চালাবেন।

ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ সরাসরি এসব কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকবেন। কার্যক্রম যথাযথভাবে চললে আগামী বছর থেকে মশার প্রজনন ব্যাপকভাবে হ্রাস পাবে বলে আশা করেন দক্ষিণ সিটি মেয়র।

তাপস বলেন, ‘নগরবাসী ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হোক তা আমরা চাই না। এ কারণেই করোনার এ মহামারির মধ্যেও মশক নিধন কার্যক্রম বেগবান করা হয়েছে এবং ২৪ ঘন্টা এ কাজ চলবে। মশক নিধন নিয়ে কোন সমস্যা হলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বা স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে জানাবেন। আমার সাথেও যোগাযোগ করতে পারবেন।‘

ঢাকা দক্ষিণের মেয়র বলেন, ‘সম্মানিত নগরবাসীদের গতবছরের ন্যায় যেন মশার অত্যাচার সহ্য করতে না হয় সে লক্ষ্যে আমি মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করেই মশক নিধনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। এর পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, রাস্তাঘাট নর্দমা সংস্কার, ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করা, যানজট নিরসন ইত্যাদি বিষয়েও গুরুত্ব দিয়ে কার্যক্রম নেয়া হচ্ছে।‘

উন্নত ঢাকা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিশিষ্ট নগর পরিকল্পনাবিদসহ বিশেষজ্ঞসহদের পরামর্শ অনুযায়ী দীর্ঘ পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তার বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান মেয়র তাপস।

করপোরেশন এলাকাধীন নর্দমা পরিষ্কার করা হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘১৪ জুন হতে জলাশয় এবং নর্দমা পরিষ্কার করার কাজ শুরু করা হবে। জলাশয়গুলোতে তেলাপিয়া মাছ চাষের পাশাপাশি পাতি হাঁস পালন করার উদ্যোগ নেয়া হবে যাতে জলাশয়গুলি সচল থাকে এবং মশার লার্ভা থাকতে না পারে।‘

এ সময় অন্যদের মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম, মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ মো. ইমদাদুল হক স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মকবুল হোসেনসহ পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগণ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/০৭জুন/কারই/এমআর)