করোনা সংক্রমণ: লকডাউন হলো যেসব জেলা-উপজেলা

প্রকাশ | ০৭ জুন ২০২০, ১৩:৫৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীসহ সারাদেশে করোনা রোধ করতে এবার সংক্রমণের হারের ওপর ভিত্তি করে লাল, হলুদ ও সবুজ (রেড, ইয়েলো ও গ্রিন) জোনে ভাগ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে সরকার।
বিশেষ করে যেসব এলাকায় বেশি করোনা রোগী শনাক্ত সেসব এলাকা রেড জোনের আওতায় এনে লকডাউন ঘোষণা করা হচ্ছে।
রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেশের তিনটি বিভাগ, ৫০টি জেলা ও ৪০০টি উপজেলাকে পুরোপুরি লকডাউন (রেড জোন বিবেচিত) দেখানো হচ্ছে। এছাড়া আংশিক লকডাউন (ইয়েলো জোন বিবেচিত) দেখানো হচ্ছে পাঁচটি বিভাগ, ১৩টি জেলা ও ১৯টি উপজেলাকে।
এর বাইরে লকডাউন নয় (গ্রিন জোন বিবেচিত) এমন জেলা দেখানো হচ্ছে একটি এবং উপজেলা দেখানো হচ্ছে ৭৫টি।
এসব অঞ্চলে বা এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি ও আইনি পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
গত ১ জুন সরকারের বেশকয়েকটি দপ্তরের মন্ত্রী, সচিব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের বৈঠক হয়। বৈঠকে এলাকা ভিত্তিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আজ থেকে কাজ শুরু হয়েছে। দেশে ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি চললেও তাতে করোনা সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হয়নি। বরং দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনার সংক্রমণ।


যেসব এলাকা লকডাউন:  মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে শনিবার সর্বশেষ আপডেট করা তালিকায় বরিশাল বিভাগের মধ্যে পুরোপুরি লকডাউন বলা হচ্ছে বরগুনা, বরিশাল, পটুয়াখালী ও পিরোজপুরকে। এই বিভাগে আংশিক লকডাউন ভোলা ও ঝালকাঠি।
ঢাকা বিভাগের মধ্যে পুরোপুরি লকডাউন করা হয়েছে গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর ও টাঙ্গাইলকে। এই বিভাগে শুধু ঢাকা ও ফরিদপুর আংশিক লকডাউন।
চট্টগ্রাম বিভাগে পুরোপুরি লকডাউন বলা হচ্ছে- ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, কুমিল্লা, কক্সবাজার, ফেনী, খাগড়াছড়ি, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীকে। এই বিভাগে আংশিক লকডাউন বান্দরবান, চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটি।
খুলনা বিভাগের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা, মেহেরপুর, নড়াইল ও সাতক্ষীরাকে পুরোপুরি লকডাউন বলা হচ্ছে। এই বিভাগে আংশিক লকডাউন বলা হচ্ছে বাগেরহাট, কুষ্টিয়া ও মাগুরাকে। খুলনা বিভাগেই দেশের একমাত্র গ্রিন জোন চিহ্নিত জেলা ঝিনাইদহ, অর্থাৎ এটি লকডাউন নয়।
রাজশাহী বিভাগের মধ্যে পুরোপুরি লকডাউন বলা হচ্ছে বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর ও রাজশাহীকে। এই বিভাগে আংশিক লকডাউন চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ।
রংপুর বিভাগের আটটি জেলাকেই পুরোপুরি লকডাউন বলা হচ্ছে। জেলাগুলো হলো- দিনাজপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, পঞ্চগড়, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও।
সিলেট বিভাগের সবকটি জেলাকেই বলা হচ্ছে পুরোপুরি লকডাউন। বিভাগের জেলাগুলো হলো- হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও সিলেট।
ময়মনসিংহ বিভাগেরও সবকটি জেলাকে পুরোপুরি লকডাউন বলা হচ্ছে। এ চারটি জেলা হলো জামালপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও শেরপুর।
এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকায় প্রতি এক লাখে যদি ৩০ জন বা এর বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত থাকে তবে সেটাকে রেড জোন বলা হবে। তিন জনের বেশি কিন্তু ৩০ জনের কম থাকলে তবে সেই এলাকাকে ইয়েলো জোন বলা হবে। এক বা দুজন বা কেউ না থাকলে সেটাকে গ্রিন জোন বলা হবে। এছাড়া গ্রিন জোনে সতর্কতা এবং ইয়েলো জোনে সংক্রমণ যেন আর না বাড়ে সেজন্য পদক্ষেপ থাকলেও রেড জোনে করোনার বিশেষ গাইডলাইন অনুযায়ী কঠোর হবে পুলিশ।
(ঢাকাটাইমস/৭জুন/এসএস/এইচএফ)