মাস্ক পরার কোনো বিকল্প নেই

প্রকাশ | ০৭ জুন ২০২০, ১৪:৫৪

ইয়াহিয়া মির্জা

করোনাভাইরাস নিয়ে জনমনে আতঙ্ক আছে। সারা বিশ্বেই এই পরিস্থিতি। এর জন্য দায়ী মূলত গুজব ও বিভ্রান্তিমূলক বিভিন্ন খবর। এক মাস্ক নিয়ে নানারকম পরামর্শ আমরা দেখেছি। এক্ষেত্রে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা- হু’র অবস্থানও বিভিন্ন সময় পরিবর্তন হয়েছে।

যেমন- সর্বশেষ তারা বলেছে, বাড়ির বাইরে বের হলে সবার মাস্ক পরা প্রয়োজন। অথচ তারাই আগে বলেছিলো, যাদের মধ্য করোনাভাইরাস নেই, তাদের মাস্ক না পরলেও চলবে। মিডিয়ায় আসা হু’র বিপরীতমুখী বক্তব্য সাধারণ মানুষকেও বিভ্রান্ত করতে পারে। যিনি শুধু আগের খবরটি পেয়েছেন, তিনি মাস্ক ছাড়াই বাইরে বের হতে চাইবেন। কারণ তার কাছে নতুন খবরটি না-ও আসতে পারে। বিশেষ করে আমাদের মতো দেশ, যেখানে সবাই শিক্ষিত কিংবা সচেতন নন, সেখানে মাস্ক বিষয়ক বিভ্রান্তি ক্ষতি বাড়িয়ে তুলবে।

আমাদের দেশ জনবহুল। তাই আমি মনে করি, বাড়ির বাইরে বের হলে সবার মাস্ক পরিধান করা প্রয়োজন। লকডাউন উঠে যাওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি আরো কঠোরভাবে মানতে বাধ্য করতে হবে। কারণ করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য দীর্ঘদিন আসলে সবকিছু লকডাউন রাখা সম্ভবও নয়। সরকার তাই ৩১ মে থেকে সাধারণ ছুটি উঠিয়ে নিয়েছে। তার আগেই অবশ্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার আহ্বান জানানো হয়।

সংক্রামক রোগ আইনও স্মরণ করানো হয়। কেউ যদি মাস্ক না পরে এই আইনের মাধ্যমে তাকে সর্বোচ্চ ৬ মাস জেল দেয়া যাবে, বা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে। এ নিয়ে আবার আলোচনা-সমালোচনার ঝড়ও উঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আমি মনে করি, সর্বত্র গিয়ে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা কঠিন। এ ধরনের বিষয়ে জনগণকেই বেশি সচেতন হতে হবে। তাহলে আইন প্রয়োগের প্রয়োজনও হবে কম।

সাধারণ ছুটি শেষে আমিও বাসা থেকে বের হয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস করছি। বাইরে বের হলে, কারো সাথে কথা বলার সময় মুখে থাকছে মাস্ক। কিন্তু চলার পথে দেখছি মাস্ক নাক-মুখের পরিবর্তে অনেকের থুতুনিতে থাকছে। এভাবে মাস্ক পরা আর না পরা সমান বিষয়। এমন দৃশ্যও চোখে পড়েছে মাস্ক নাকে-মুখে না পরিধান করে হাতে নিয়ে ঘুরছে। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় সঠিক স্থানে মাস্ক পরা জরুরি।

মাস্ক দিয়ে অবশ্যই নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে। এটা যেমন রাস্তায় চলার সময় পরতে হবে। তেমনিভাবে কারো সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ও পরতে হবে। মার্কেটে বা জনবহুল স্থানে গেলেও মাস্ক পরতে হবে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আমরা সবাই মাস্ক পরবো। এতে নিজেও ভালো থাকবো। পাশের জনও ভালো থাকতে পারবে। সবাই ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন- এই কামনা রইলো।

লেখক: হেড অব পাবলিক রিলেশনস অ্যান্ড মিডিয়া ডিভিশন, সিটি ব্যাংক

ঢাকাটাইমস/৭জুন/এসকেএস