পালিত ছেলের হাতে খুন হন দম্পতিসহ তিনজন

প্রকাশ | ০৭ জুন ২০২০, ১৯:৪৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা

পাবনার দিলালপুরে ভাড়া বাসায় একই পরিবারের তিনজন খুন হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। হত্যায় জড়িত নিহত আব্দুল জব্বারের পালিত ছেলে স্থানীয় মসজিদের ইমাম তানভীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূলত টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কারের লোভে নিঃসন্তান দম্পতি ও তাদের পালিত মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন তানভীর।

গ্রেপ্তার তানভীরের বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার হরিপুর গ্রামে।

রবিবার দুপুরে পাবনা পুলিশ লাইন মিলনায়তনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার ও তার স্ত্রী ছুম্মা খাতুন ছিলেন নিঃসন্তান। একদিন বয়সী শিশু সানজিদাকে পালক নিয়ে লালন পালন করছিলেন। এর মধ্যে দেড় বছর আগে বাড়ির পাশে ফায়ার সার্ভিস মসজিদের ইমাম তানভীরের ব্যবহারে সন্তুষ্ট হয়ে তাকেও সন্তান হিসেবে আপন করে নেন। তানভীরও তাদের বাবা-মা হিসেবে ডাকতে থাকেন। ব্যাংক, পোস্ট অফিসে টাকা লেনদেনেও তানভীরকে সাথে নিয়ে যেতেন আব্দুল জব্বার। এখান থেকেই জব্বারের টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কারের দিকে লোভাতুর দৃষ্টি পড়ে তানভীরের। পরিকল্পনা করতে থাকেb হত্যার। গত ২৯ মে ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার হরিপুর গ্রামে চলে যান তানভীর। ছুটি শেষ হওয়ার আগেই ৩১ মে পাবনা ফিরে আসেন তিনি। ওইদিন রাতে ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল জব্বারের বাড়িতে অবস্থান নেন তানভীর। আর রাত ২টার দিকে ঘুমন্ত আব্দুল জব্বার, তার স্ত্রী ছুম্মা খাতুন ও মেয়ে সানজিদাকে কুপিয়ে ও কাঠের বাটাম দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে নগদ দুই লাখ টাকা, এক লাখ ভারতীয় রুপি ও স্বর্ণের গহনা লুট করে পালিয়ে যান। গত শুক্রবার দুপুরে ওই বাড়ি থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আর ঘটনার রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম। অবশেষে তথ্যপ্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শনিবার রাতে নওগাঁর নিজ বাড়ি থেকে তানভীরকে গ্রেপ্তার করে।

নৃশংস হত্যায় জড়িত তানভীরের শাস্তি নিশ্চিতে সবধরনের আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।

(ঢাকাটাইমস/০৭জুন/এলএ/জেবি)