যশোরে বিপুল হত্যায় তিন আসামির জবানবন্দি

যশোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ জুন ২০২০, ২০:০৮

যশোরের চৌগাছায় পরকীয়ার জেরে বিপুল হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রবিবার আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যায় ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত ৫ জুন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চৌগাছা উপজেলার বেড়গোবিন্দপুর মুলিখালী বটতলার রাস্তার পাশে ঝোপের মধ্যে বস্তাভর্তি এক পুরুষ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে চৌগাছা থানা পুলিশ৷ পরে লাশটির পরিচয় পাওয়া যায়।

নিহত ব্যক্তি উপজেলার হিজলী গ্রামের জামাল হকের ছেলে বিপুল৷ নিহতের ছেলে রকি আহমেদের অভিযোগের ভিত্তিতে একই দিন চৌগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা হয়৷ মামলাটি তদন্তে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখাকে দায়িত্ব দেন পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন।

জেলা ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহম্মদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শামীম হোসেন ও আইটি শাখার এসআই মফিজুল ইসলাম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার দুপুরে মনিরামপুর উপজেলার গোপালপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এতে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী চৌগাছা উপজেলার হিজলী গ্রামের আবু শামার ছেলে সবুজ হোসেন(১৯), আবু শামার স্ত্রী ফুলবানু বেগমকে(৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক তাদের সহযোগী একই এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তুহিনকে (২৫) হিজলী বাজার থেকে একইদিন বিকালে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের থেকে তথ্য নিয়ে চৌগাছা পুড়াপাড়া ইদ্রিস আলীর পাটক্ষেতের ভিতর থেকে একটি মোবাইল ফোন দুটি সিম উদ্ধার করা হয়। এরপর হত্যার স্থান পলাতক আসামি রফিকুলের বসতবাড়ী চৌগাছার দক্ষিণ কয়ারপাড়া থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়। চৌগাছা বাজারের যে দোকান থেকে চটের বস্তা কেনা হয়েছিল তা শনাক্ত করে চট জব্দ করা হয়।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ফুলবানুর সঙ্গে তিন বছর যাবৎ পরকীয়া প্রেম ও দৈহিক সম্পর্ক করেন নিহত বিপুল। তাদের অনৈতিক সম্পর্ক ছেলে সবুজ দেখে ফেলে এবং বিপুলকে সতর্ক করা সত্তেও তিনি শুনেননি। এরপর বিপুলকে মেরে ফেলতে সবুজ তার ভগ্নিপতি রফিকুলের সঙ্গে মিলে পরিকল্পনা করে।

ঘটনার দিন রফিকুল গরু কেনার কথা বলে বিপুলকে ডেকে নিয়ে যায় তার বসতঘরে। এরপর শ্বাসরোধ ও মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং গোপনাঙ্গে চেপে ধরে হত্যা করে বস্তাভর্তি করে গভীর রাতে বেড়গোবিন্দপুরে ফেলে দেয়।

সবুজের বাবা আবু শামা ১০/১২ বছর যাবৎ মালয়েশিয়াতে আছেন। ডিবির (ওসি) মারুফ আহম্মেদ বলেন, রবিবার আসামিদেরকে আদালতে নেয়া হয়েছে৷ বিকালে তাদের জবানবন্দি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে রেকর্ড করা হয়৷

(ঢাকাটাইমস/৭জুন/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :