শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুট বন্ধ

পদ্মা সেতুর ৩১তম স্প্যান বসছে আজ

প্রকাশ | ১০ জুন ২০২০, ০৮:১৯ | আপডেট: ১০ জুন ২০২০, ০৮:৩২

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে বসতে যাচ্ছে আরেকটি স্প্যান। আজ বুধবার সেতুর ২৫ ও ২৬নং পিয়ারে বসানো হবে ৩১তম স্প্যান ‘৫-এ’। এর ফলে দৃশ্যমান হতে চলেছে সেতুর ৪ হাজার ৬৫০ অর্থাৎ সাড়ে ৪ কিলোমিটারের বেশি অংশ।

৩০ তম স্প্যান বসানোর ১০দিনের মাথায় ৩১তম স্প্যানটি বসানো হচ্ছে। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৗশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের ঢাকাটাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্প্যান বসানো কার্যক্রমের জন্য আজ পদ্মায় বেলা ১১টা থেকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, ১১ জুন স্প্যানটি বসানো হবে বলে পূর্বে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিলো। তবে এদিন আবহাওয়া অনুকূলে না থাকতে পারে বলে একদিন আগেই স্প্যানটি বসানো হচ্ছে।

বুধবার সকাল ৮টায় মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেনে ৩১তম স্প্যানটি নির্ধারিত ২টি পিয়ারে কাছে রওনা হবে। দুপুরে স্প্যানটি পিয়ারের কাছে পৌঁছাবে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে বিকালে স্প্যানটি বসানোর কার্যক্রম শুরু হবে।

এদিকে চীন থেকে পদ্মা সেতুর প্রয়োজনীয় মালামালের সর্বশেষ চালান বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে গত ১৪ মে, যা আগামী ১৫ জুন মাওয়া এসেছে পৌঁছবে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ। এরপর একে একে বসানো হয় ৩০টি স্প্যান। প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সবকটি পিয়ার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে।

ঢাকাটাইমস/১০জুন/প্রতিনিধি/এমআর