আ.লীগ নেতা বরকতের সহযোগী গ্রেপ্তার, আরো দুই নেতা বহিষ্কার

ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন বরকতের সহযোগী মনিরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে ফরিদপুর শহরের ভাজনডাঙ্গা এলাকায় তার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকতকে অব্যাহতি ও বহিষ্কারের সুপারিশের পর শহর কমিটির ওয়ার্ডে আরো দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মনিরুজ্জামান ফরিদপুর শহরতলীর ভাজনডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। তিনি বর্ধিত ফরিদপুর পৌরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ২০১৭ সালে মনিরুজ্জামান চাকরি ছেড়ে এসবি কনস্ট্রাকশন নামে সাজ্জাদ হোসেনের কনস্ট্রাকশন ফার্মে সাইড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন।

শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী জানান, শহর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনের চাপের কারণে মনিরুজ্জামানকে ফরিদপুর বর্ধিত পৌরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদকের পদ দিতে হয়।

ফরিদপুর কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শহীদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে শহরের ভাজনডাঙ্গার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় মনিরুজ্জামানকে।

তিনি বলেন, গত ১৮ মে দায়ের করা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয় মনিরুজ্জামানকে।

এদিকে বুধবার বিকাল ৩টার দিকে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, আওয়ামী লীগের সভাপতির বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর করে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করায় এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি নারায়ণ চক্রবর্তীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দলের প্রাথমিক সদস্যসহ দল থেকে তাদের বহিষ্কারের সুপারিশ করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১০জুন/এলএ)