বাবার শ্বাসকষ্ট লাঘবে ছেলের সারা রাতের চেষ্টা

প্রকাশ | ১১ জুন ২০২০, ১২:০৬ | আপডেট: ১১ জুন ২০২০, ১২:১০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

করোনায় আক্রান্ত হলে ধরা ছোঁয়া মানা। কাছে যাওয়া মানা। এমনকি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেও কবর দিতেও যাচ্ছে না প্রিয়জনেরা। আবার অনেকে নিজের মা বাবাকে পথের ধারে, জঙ্গলে, হাসপাতালের কাছে ফেলে পালিয়ে যাচ্ছে।

ছোট বেলায় পড়েছিলাম বড় পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) এর একটা কাহিনী। সেখানে ঘটনাটি ছিল এমন- রাতে ছোট, বাচ্চা মানুষ আবদুল কাদের জিলানীর কাছে মা  পিপাসায় কাতর হয়ে পানি পান করার জন্য বলেন। জিলানী ঘরে পানি আনতে যেয়ে দেখেন পানি নেই কলসে।

রাতে বাইরে থেকে পানি এনে মাকে দিতে যেয়ে দেখেন মা ঘুমিয়ে গেছেন। ছোট্ট আবদুল কাদের জিলানী পানির গ্লাস হাতে নিয়ে সারা রাত মায়ের শিয়রে দাঁড়িয়ে থাকেন। কখন মা জেগে উঠে আবার পানি চান। দিতে দেরি হলে কষ্ট পাবেন ভেবে সারা রাত দাঁড়িয়ে ছিলেন।

ঠিক এমনই একটি ঘটনার চিত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের। বাবা করোনাতে আক্রান্ত হয়ে খুব শ্বাসকষ্টে আছে। তাইতো সন্তান নিজের বুকে বালিশ রেখে সারাটা রাত এভাবেই বাবাকে একটু শান্তিতে শ্বাস নিয়ে ঘুমাতে সহায়তা করছেন।

সারা রাত জাগতে জাগতে কখন যে চোখ বুজে এসেছেন। টের পান নি। নিজের অজান্তেই ঘুমিয়ে গেছে! যেখানে করোনাতে মৃত ব্যক্তিকে তার সন্তান দেখতে পর্যন্ত যায় না, সেখানে এই করোনা আতঙ্কের ভেতর এমন সন্তান সত্যি আদর্শ সন্তান। হ্যা, এই পৃথিবীতে এখনও এমন আদর্শ পিতার আদর্শ সন্তান আছে! মহান আল্লাহর কাছে আকুল আবেদন, তুমি পৃথিবীর এমন সুসন্তানদেরকে তোমার শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার দিয়ে তাদের সকল মনোবাসনা পূরণ করুন।

এ জগৎ সংসারে এখন বড় পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) এর মতো মানুষের আগমন আর ঘটবে কি না জানি না। তবে এখনো অনেক সন্তান আছেন যারা পিতা মাতার জন্য তদ্রুপ কাজ করতে পারেন।

করোনা থেকে এ পৃথিবী খুব দ্রুত মুক্তি পাক এই দোয়া সব  সময়।

ঢাকাটাইমস/১১জুন/এসকেএস