বিশ হাজার টাকায় ভাগ্য বদল

ফরমান শেখ, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল)
| আপডেট : ১১ জুন ২০২০, ১৫:২৯ | প্রকাশিত : ১১ জুন ২০২০, ১৫:০৯

পরিত্যক্ত জমিতে সুপারি চারা রোপন করে ভাগ্য বদল করেছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের জাকির হোসেন নামে এক নার্সারি উদ্যোক্তা। মাত্র বিশ হাজার টাকায় এ কাজের উদ্যোগ নেন করটিয়া সরকারি সা’দত কলেজের অনার্স পড়ুয়া এ ছাত্র। উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের মাছুহাটা এলাকায় নিজ বাড়ির আঙিনায় পতিত ৩৫ শতাংশ জমিতে কম খরচে নার্সারি করে এলাকার অনেক তরুণ যুবকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন তিনি।

তাকে দেখে আশে পাশের বিভিন্ন এলাকার বেকার যুবকরাও এ উদ্যোগ নিচ্ছেন। তার কাছে এ বিষয়ে পরামর্শও নিতে আসছেন অনেকে। কম খরচে দেশীয় জাতের সুপারি রোপন চাষের পরামর্শ দিয়ে স্থানীয় বেকার যুবকদের উদ্বুদ্ধ করছেন তিনি।

জাকির হোসেন বলেন, ‘বেকারত্বকে দূর করতে সবসময় চিন্তা করতাম পড়াশনার পাশাপাশি নিজে উদ্যোক্তা হয়ে কিছু একটা করতে হবে। বাড়ির আঙিনায় নিজস্ব ওই জমিতে প্রাথমিকভাবে প্রতি সুপারি বীজ ২ টাকা করে ১০ হাজার সুপারি ২০ হাজার টাকায় কিনে রোপণ করি। এসব সুপারির চারা এখন বিক্রি করার উপযোগী হয়েছে। ১০০০০ সুপারি বীজের মধ্যে ৫০০০ সুপারি চারা হয়েছে। বর্তমানে বাজারে চাহিদা অনুযায়ী প্রতি পিছ সুপারি চারা ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যাচ্ছে। সে অনুযায়ী ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বিক্রি করা যাবে।’

তিনি জানান, সুপারির বীজ রোপণে অল্প শ্রম ও কম খরচে বেশি লাভ হয়। চারায় ৫ থেকে ৭ পাতা হলে ট্রান্সফার করে অন্যত্র লাগানো বা বিক্রি করার উপযোগী হয়। মাটির উর্বরতা (পিএইচ) সাড়ে ৫ থেকে ৬ হলেই এর চাষে ফলন ভালো হয়। তাই যে কেউ ইচ্ছে করলে বাড়ির আশপাশে সুপারি বীজ লাগাতে পারেন। এতে বেকারত্ব দূর করা সম্ভব।

জাকিরের বাবা বলেন, ‘জাকিরের এ উদ্যাগে আমি আগ্রহী ছিলাম না। তবুও জাকির হাল না ছেড়ে উদ্যোগটি নিয়ে সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’

ঢাকাটাইমস/১১জুন/পিএল

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :