ফরিদপুরে মানুষের সেবায় পল্লী বিদ্যুতে ‘আলোর গেরিলা’
যখন মহামারি করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত দেশ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আম্পান আর প্রবল অকালবোধনের বৃষ্টি-বন্যায় নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানুষ তখন মানুষের সেবায় নিজেদেরকে উৎসর্গ করেছেন ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুতের প্রকৌশলী, লাইনম্যান, মাঠকর্মীসহ ২৬৪ জন দক্ষ যোদ্ধা।
‘আলোর গেরিলা’ নামে ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ ৩৩টি গ্রুপ তৈরি করেছে। প্রতিটি গ্রুপে আটজন করে সদস্য রয়েছে। জেলার নয়টি উপজেলায় যেকোনো পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে সচল রাখতে এই বিদ্যুতের গেরিলা যোদ্ধারা ২৪ ঘণ্টা সক্রিয়ভাবে কাজ করবেন।
দুর্যোগে মানুষের সেবায় পাশে থেকে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন গেরিলা গ্রুপ সদস্যরা। করোনাভাইরাসে ফরিদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ নয়টি উপজেলায় হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, জরুরি আইসোলেশন, ভেন্টিলেশন ও জরুরি চিকিৎসা যন্ত্র সচল রাখতে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পবিত্র মাহে রমযানে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে এই গেরিলা গ্রুপ সক্রিয় থাকবে।
ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুতের জি.এম আবুল হাসান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা এসেছে। সেখানে গেরিলা যোদ্ধাদের অবদান অবিস্মরণীয়। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আপনারা গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে বিদ্যুতের বাতি জ্বালিয়ে মানুষের সেবায় নিয়োজিত আছেন এটা বীরত্বের।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈনউদ্দিনের (অব.) নির্দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও বৈরী আবহাওয়ার দুর্যোগ মোকাবেলা করে আলোর গেরিলা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দেশের দুই কোটি ৮৫ লাখ গ্রাহক এবং ১২ কোটিরও বেশি মানুষের ঘরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে আমরা কাজ করছি।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের আওতায় ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, ২৭৬টি জোনাল অফিস, ১৪২টি সাব-জোনাল অফিস, ১১০টি এরিয়া অফিস ও ১১৬টি অভিযোগ কেন্দ্র মিলে ১৬২৪টি কার্যালয়ের মাধ্যমে সব সমস্যা নিরসনে কাজ করা হচ্ছে। ফরিদপুরে পল্লী বিদ্যুতের মাধ্যমে সংযোগ সুবিধা পাচ্ছেন তিন লাখ ৬৭ হাজার ৭৭৫ গ্রাহক। আর প্রায় ১৭ লাখ মানুষ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত।
দুই হাজার ১৬১ বর্গ কিলোমিটার আয়তন জুড়ে ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ বিস্তৃত। ৭৯টি ইউনিয়ন, এক হাজার ৮০৬টি গ্রামে কাজ করছে সেবার মহানব্রত নিয়ে এই দপ্তর।
(ঢাকাটাইমস/১১জুন/কেএম)