লেবাননে খেয়ে বেঁচে থাকাই বড় সংগ্রাম বাংলাদেশিদের

লেবাননে আমেরিকান ডলারের দাম পাঁচ হাজার লেবাজিন পাউন্ড ছাড়িয়েছে। এখন ১০০ ডলার কিনতে গেলে গুণতে হবে পাঁচ লাখ লেবানিজ পাউন্ডের বেশি। বৃহস্পতিবার লেবাননে বিভিন্ন স্থানীয় মানি এক্সচেঞ্জ ঘুরে এই তথ্য জানা গেছে।

গুঞ্জন উঠেছে আগামী এক সপ্তাহে ছয় হাজার লেবানিজ পাউন্ড হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এর চরম প্রভাব পড়েছে সব দেশের প্রবাসীদের উপর।

লেবাননে করোনা ভাইরাসের হানায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক বাংলাদেশি। গত প্রায় সাত-আট মাসে মার্কিন ডলারের দাম বেড়েছে চার গুণ। সেই সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। লেবাননের জাতীয় ব্যাংকে মার্কিন ডলারের দাম এখনো আগের দামে এক মার্কিন ডলার সমান দেড় হাজার লেবানিজ পাউন্ডে অব্যাহত রয়েছে। কিন্ত বাইরে বিক্রি হচ্ছে এক ডলার সমান পাঁচ হাজার লেবানিজ পাউন্ড।

তবে ব্যাংকে ডলারের দাম দেড় হাজার লেবানিজ পাউন্ড থাকলেও ব্যাংকগুলোতে খরিদের জন্য পাওয়া যাচ্ছে না ডলার। এতেই নাকাল লেবানন এবং বন্ধ হয়ে গেছে অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। আর এর ভুক্তভোগী হয়ে চাকরি হারিয়েছে হাজার হাজার বাংলাদেশি প্রবাসী।

এদিকে ডলারের দাম বেড়েছে চারগুণ এবং লেবানন ব্যাংকের ডলারের দাম এখনো আগের অবস্থায় থাকার ফলে মালিকেরা আগের সরকারি হিসাবেই বেতন পরিশোধ করছে। এতে অল্প আয়ের প্রবাসীরা পাওনা বেতন দিয়ে ঘর ভাড়া পরিশোধ করতেই হিমশিম খাচ্ছে। সব মিলিয়ে খেয়ে বেঁচে থাকাই এখন লেবানন প্রবাসীদের বড় সংগ্রাম হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গত সপ্তাহে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি এক বক্তব্যে বলেন, লেবাননের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মিসেল আউনসহ তার সরকার দেশ পরিচালনায় একজন ব্যর্থ সরকার।

লেবাননের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং ডলার সংকট সমাধানের কোনো পথ দেখা যাচ্ছে না। দিনের পর দিন ধীরে ধীরে অবস্থা আরও অবনতি হচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যেও সরকার বিরোধী আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে লেবাননের জনগণ।

আন্দোলনের পর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ সবকিছুর দাম নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় কষ্টে দিন যাপন করছে লাখ লাখ লেবানিজ জনগণ।

(ঢাকাটাইমস/১১জুন/কেএম)