‘করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোয় লাভবান হবেন নারী উদ্যোক্তারা’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১২ জুন ২০২০, ০১:২৮ | প্রকাশিত : ১২ জুন ২০২০, ০১:০৮

করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে তিন লাখ ৫০ হাজার করায় নারী উদ্যোক্তারা লাভবান হবেন বলে মনে করেন নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠন উইমেন এন্ট্রাপ্রিনিওয়ার্স নেটওয়ার্ক ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (ওয়েন্ড)। তবে তাদের দাবি এটার সীমা যেন চূড়ান্ত বাজেটে পাঁচ লাখ টাকা করা হয়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওয়েন্ডের প্রেসিডেন্ট ড. নাদিয়া বিনতে আমিন বলেন, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে এবং জীবন ও জীবিকা নিশ্চিতে প্রস্তাবিত বাজেট গনমুখী ও সময়উপযোগী।

নারী উদ্যোক্তাদের করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ থেকে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করায় নারী উদ্যোক্তারা বিশেষভাবে লাভবান হবে মন্তব্য করে ড. নাদিয়া বলেন, ওয়েন্ডের পক্ষ থেকে করমুক্ত আয় সীমা নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বৃদ্ধি করে পাঁচ লক্ষ্য টাকা করার প্রস্তাব ছিল। এ বিষয়ে আশা করি ইতিবাচর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এ ছাড়াও ব্যাক্তিগত করহার ১০ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ৫ শতাংশ করা এবং কর্পোরেট করহার হ্রাস করবার প্রস্তাবকেও ওয়েন্ড সাধুবাদ জানিয়েছে।

২০২০-২০২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপনের জন্য অর্থমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে নাদিয়া বিনতে আমিন বলেন, বাজেট বক্তব্য থেকে সুষ্পষ্ট নয় যে, নারী উদ্যোক্তা দ্বারা পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল আমদানি শুল্ক হ্রাস করার জন্য ওয়েন্ড যে প্রস্তাবনা দিয়েছিল তা আদৌ বিবেচনা করা হয়েছে কি না। নারী উদ্যোক্তাদের বাৎসরিক টার্ন ওভার ৫০ লাখ থেকে তিন কোটি টাকা পর্যন্ত ভ্যাট মওকুফ করে চার শতাংশ হারে টার্নওভার ট্যাক্স ধার্য করার বিষয়টিও স্পষ্ট নয়। আমরা আশাবাদী চূড়ান্ত বাজেটে এ বিষয়টি যথাযথভাবে বিবেচনা করা হবে।

এ ছাড়া কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ নিশ্চিত করন, স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো, সামাজিক সুরক্ষা খাতে গুরুত্ব আরোপ অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য বলে ড. আমিন মনে করেন। তিনি মনে করেন, দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় বিভিন্ন পণ্য খাতে আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করার যে প্রস্তাব করা হয়েছে তাতে স্থানীয় শিল্প উপকৃত হবে।

নাদিয়া বিনতে আমিন বলেন, দেশের জিডিপি র ২৫ শতাংশ অবদান রাখে এসএমই খাত। এসএমই খাতের সিংহভাগই নারী উদ্যোক্তা। সুতরাং নারী উদ্যোক্তা বাঁচলে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। আমরা অতীতেও দেখেছি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নের স্বপ্ন দেখেন এবং তাদের ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করেছেন। আমরা আশা করি করোনার এই ক্রান্তিকালে ওয়েন্ডের দাবি-দাওয়াগুলো সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করবেন। এই সংকটকাল উত্তরণে নারী উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়াবেন এবং চূড়ান্ত বাজেটে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।

(ঢাকাটাইমস/১১জুন/জেআর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

নারীমেলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা