কর কমল, এবার ওষুধের দাম কমানোয় নজর চাই
উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালে কর অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া হলেও উৎপাদকেরা ওষুধের দাম না কমালে তা জনগণের জন্য কোনো সুফল দেবে না। এ জন্য কর অব্যাহতির সুবিধা বাস্তবায়নের সময় পণ্যের দাম কমানোর দিকে নজরদারি করতে হবে।
ঢাকাটাইমসের সঙ্গে আলাপে এই অভিমত দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ।
করোনাভাইরাসের দুর্যোগের সময়ে ওষুধের কাঁচামালে কর কমানো সময় উপযোগী ভাবনা বলে মনে করেন এই স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ।
ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, 'ওষুধের জন্য আমরা বছরে খরচ করি প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা। এটা জনগণের পকেট থেকে সরাসরি যায়। পাশাপাশি জনগণের করের টাকায় সরকারেরও খরচ করতে হয়। তার মানে আমরা ওষুধের জন্য খরচ করি এক লাখ কোটি টাকা। কাঁচামালের কর কমে গেলে ওষুধের দাম যদি ৫ শতাংশও অন্তত কমে, তাহলে জনগণের পাঁচ থেকে দশ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।’
২০২০-২১ বাজেটে করোনাভাইরাস মোকাবেলার চিকিৎসা সরঞ্জাম অর্থাৎ আইসিইউ যন্ত্রপাতি, হ্যান্ড গ্লোভস, পিপিই, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, টেস্টিং কিট, সুরক্ষা চশমা ইত্যাদির কর পুরোপুরি মওকুফ করা দরকার বলেও মনে করেন ঢাবির স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের পরিচালক।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, 'লোকাল মার্কেটে যে উৎপাদনগুলো হচ্ছে সেখানেও যদি কর মওকুফ করা যায় তাহলে ভালো হয়। তাতে জনগণের স্বাস্থ্যসেবার পথ আরো সুগম হবে।'
ওষুধশিল্পের কাঁচামালের কর কমানোর সুফল যাতে জনগণ পায়, সে জন্য দাম কমানোর ব্যবস্থাটা রাখার তাগিদ দেন ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ। বলেন, 'এমন যেন না হয় যে, সরকার ওষুধশিল্পে কাঁচামালের ওপর কর কমিয়ে দিল, কিন্তু উৎপাদকরা ওষুধের দাম কমাল না। তাহলে জনগণ কর কমানোর কোনো সুফল ভোগ করতে পারবে না। তখন শুধু ব্যবসায়ীরাই লাভবান হবে।
‘ধরা যাক আগে ওষুধশিল্পের মালিক বা উৎপাদকেরা প্রতি ইউনিটে ৫ টাকার সুফল ভোগ করত। এখন কর কমার পর দাম না কমালে তারা ৬ টাকার সুফল ভোগ করবে।'
ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, যারা বাজেট বাস্তবায়নে কাজ করবেন তাদের প্রতি সরকারের নজরদারি জারি রাখতে হবে। তা না হলে উৎপাদকদের কর অব্যাহতি দিয়ে জনগণের স্বার্থ রক্ষিত হবে না।
(ঢাকাটাইমস/১৩জুন/টিএটি/মোআ)