দেশে লবণের মজুদ চাহিদের চেয়ে বেশি: বিসিক

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৪ জুন ২০২০, ১৪:২১

বর্তমানে দেশে পর্যাপ্ত লবণ মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)।

আজ রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে উৎপাদিত নতুন লবণ এবং গত মৌসুম শেষে উদ্বৃত্ত পুরনো লবণ মিলিয়ে দেশে লবণের মজুদ ২০ লাখ ৩ হাজার মেট্রিক টন, যা দেশের মোট চাহিদা চেয়ে প্রায় ১.৫০ লাখ মে. টন বেশি ।

বিসিকের শিল্প উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ বিভাগ এবং কক্সবাজারে অবস্থিত বিসিক লবণ শিল্প উন্নয়ন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে দেশে ভোজ্য ও শিল্প লবণের মোট চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৮ লাখ ৪৯ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে সদ্য সমাপ্ত মৌসুম মোট ১৫ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন ক্রুড লবণ উৎপাদিত হয়েছে। এছাড়া বিগত মওসুমের উদ্বৃত্ত লবণ ছিল ৪ লাখ ৩৩ হাজার মে. টন । সব মিলিয়ে মোট জাতীয় চাহিদার বিপরীতে দেশে লবণের মোট মজুদ ২০ লাখ ৩ হাজার মেট্রিক টন।

এর মধ্যে চলতি অর্থ বছরের মে মাস পর্যন্ত চাহিদা মিটিয়ে ১ জুন পর্যন্ত লবণ মাঠ ও মিল পর্যায়ে লবণের মোট মজুদের পরিমাণ ১৩ লাখ ৬৮ হাজার মে. টন। এছাড়া দেশের সব জেলার ডিলার, পাইকারী ও খুরচা বিক্রেতা পর্যায়ে আয়োডিনযুক্ত ভোজ্য লবণ মজুদ রয়েছে।

এমনিতেই করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় দেশে শিল্প লবণের চাহিদা তুলনামূলক কম পরিলক্ষিত হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতি বছর নভেম্বর মাসে লবণ উৎপাদনের মৌসুম শুরু হয়ে থাকে। সে হিসেবে নতুন লবণ মওসুম শুরু হওয়ার আর মাত্র ৫-৬ মাস বাকি। এরপর থেকেই আবারও বাজারে নতুন লবণ আসতে শুরু করবে।

বর্তমান মজুদকৃত লবণ দিয়েই আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণসহ আগামী ১০ (দশ) মাস লবণের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।

চলতি বছরের নভেম্বরে নতুন মওসুমের লবণ বাজারে আসবে বিধায় বর্তমান মজুদ দিয়ে শিল্প ও ভোজ্য লবণের জাতীয় চাহিদা মিটিয়েও উদ্বৃত্ত লবণ থাকবে। ফলে এ বছর লবণ আমদানির কোনো প্রয়োজন হবে না ।

(ঢাকাটাইমস/১৪ জুন/আরএ/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :