ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর মাগফেরাত কামনায় গওহরডাঙ্গায় দোয়া

প্রকাশ | ১৪ জুন ২০২০, ১৬:৪৮

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
ফাইল ছবি

সদ্য মারা যাওয়া ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহর রুহের মাগফেরাত কামনায় গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসায় কুরআন খতম ও বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ছদর সাহেব রহ.-এর পৌত্র ও গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মুফতি উসামা আমীন।

রবিবার বাদ জোহর এই দোয়া মাহফিলে মুফতি উসামা আমীন বলেন, শেখ মো. আবদুল্লাহ ছিলেন জনবান্ধন রাজনীতিবিদ, যেকোরেনা সমস্যায় তিনি মানুষের কাছে ছুটে যেতেন। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আস্থাভাজন হওয়ায় বারবার তাকে তার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নসহ সব কিছুর দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের মতো বড় দলের ধর্ম বিষয়ক সম্পদক এবং গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসায় পড়ালেখার কারণে দেশের আলেম-উলামা, পীর-মাশায়েখদের সাথে তার হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকালে তিনি ধর্মীয় সকল বিষয়ে আলেম-উলামাদের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিতেন। আলেম উলামাদের মাতের বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নিতেন না। তার ইন্তেকালে দেশ একজন প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ হারালো আর আমরা হারালাম হক্কানি আলেম-উলামাদের দরদী বন্ধু।

দোয়া মাহফিলে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা ফরিদ আহমাদ, মাওলানা আব্দুস সালাম, মাওলানা বশীর আহমাদ, মুফতি মোহাম্মাদুল্লাহ, মুফতি মাকসুদুল হক, মুফতি মোহাম্মদ তাসনীম, মাওলানা আতাউর রহমানসহ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।

এদিকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মুহতামিম ও খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন। এক শোকবার্তায় মুফতি রুহুল আমীন বলেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ ছিলেন একজন ধর্মভীরু বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। তিনি অত্যন্ত সৎ পরোপকারী ও ভালো মনের মানুষ ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দেশের আলেম উলামাদের সাথে নিয়ে ইসলাম এবং দেশের জন্য কাজ করেছেন। আমরা এক সাথে কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি, দাওয়াত ও তাবলিগের সমস্যার সমাধানসহ বিভিন্ন বিষয়ে একসাথে কাজ করছি। কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতির ব্যাপারে তার প্রশংসনীয় ভূমিকা ছিল। দাওয়াত ও তাবলিগের সংকটকালে তিনি বুদ্ধিমত্তার সাথে বিষয়টি সমাধান করেছন। তার এসব কাজের কারণে তিনি আজীবন প্রশংসনীয় হয়ে থাকবেন।

মুফতি রুহুল আমীন আরও বলেন, তিনি ছিলেন আমার বাবা মোজাহেদে আজম আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরী ছদর সাহেব রহ. এর বিশেষ শিষ্য এবং গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার ছাত্র। ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পরে গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা এসে সবার দোয়া নিয়ে মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। তিনি সকল কাজ আমি এবং আলেম উলামাদের সাথে পরামর্শ করে করতেন। আমাদের মাঝে গভীর সম্পর্ক ছিল। আমরা দুজন ভাইয়ের মতো চলাফেরা করতাম। তার ইন্তেকালে আমি এবং দেশের আলেম-উলাম অভিভাবক শূন্য হলাম। তার শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।

তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

(ঢাকাটাইমস/১৪জুন/জেবি)