জোর করে অপহরণ মামলার বাদী করল পুলিশ

প্রকাশ | ১৪ জুন ২০২০, ২২:১০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

মামলার বাদী বানাতে জোর করে স্বাক্ষর নেয় পুলিশ। এরপর অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা করে। এই কীর্তি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানা পুলিশের।

মামলার বাদী ও তার স্কুলছাত্রী মেয়ের কল ও ভিডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে স্কুলছাত্রীর মা মামলা করার পক্ষে নন এবং পুলিশ যে জোরপূর্বক তার কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়েছে সেটি স্পষ্ট করেই বলছেন। স্কুল ছাত্রীও বলেছে কেউ তাকে অপহরন করেনি।

স্থানীয় এক সাংবাদিক পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় লেখালেখি করায় ওই সাংবাদিকের ভাইকে মামলায় ফাঁসাতে এ ঘটনায় পুলিশ তৎপর হয়।

উপজেলার বারিখলা গ্রামের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৬) গত ৮ জুন বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর ওই ছাত্রীকে না পেয়ে ছাত্রীর মা গত ১০ জুন নবীনগর থানায় একটি জিডি করেন।

পুলিশ গত ১২ জুন ওই স্কুলছাত্রী ও তার প্রেমিক একই উপজেলার রসুল্লাবাদ গ্রামের রিয়াদুল ইসলাম শান্তকে (২০) নবীনগর পৌর এলাকার নারায়ণপুরের একটি সালিশ সভা থেকে উদ্ধার করে। পরে শান্তকে একমাত্র আসামি করে একটি ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা দিয়ে শনিবার দুজনকেই কোর্টে পাঠায় পুলিশ।

নবীনগর থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক পারভেজ আহমেদ জানান, ছেলে এবং মেয়ের অভিভাবকদের সম্মতি ও উপস্থিতিতে আমরা সামাজিকভাবে বিষয়টি সমাধানে বসেছিলাম। তখনই পুলিশের এসআই নজরুল এদের দুজনকে সালিশ সভা থেকে ধরে থানায় নিয়ে যায়।

শান্তর বড় ভাই স্থানীয় সাংবাদিক বর্ষণ বাবুল অভিযোগ করেন, সম্প্রতি একটি গ্রামে গোলাগুলির ঘটনা নিয়ে একাধিক রিপোর্ট করায় পুলিশ আমার ওপর প্রচন্ডভাবে ক্ষিপ্ত ছিল। আর এ কারণেই আমার ভাইকে এই মিথ্যে মামলায় জড়ানো হয়।

নবীনগর থানার এসআই নজরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মেয়েটির মা স্বেচ্ছায় ধর্ষণ ও অপহরণের মামলা করেছেন। আমি জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়েছি, এটি একেবারেই অসত্য। ওসি স্যার সবই জানেন।

এ বিষয়ে ওসি রনোজিত রায়ের বক্তব্য জানতে তাকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

পরে নবীনগর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন বলেন, এমন অভিযোগ সত্য নয়। তবে এরপরও বাদীর কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগটির সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই দোষী পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৪জুন/কেএম)