ব্যাংকারদের বেতন না কমানোর দাবি বিডব্লিউএবির

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ জুন ২০২০, ১৯:২৭

ব্যাংক কর্মকর্তাদের বেতন ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধা না কমানো দাবি করেছে ব্যাংকার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (বিডব্লিউএবি)।

মঙ্গলবার এ বিষয়ে ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) এর কাছে পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে ব্যাংকারদের নিয়ে গঠিত সংগঠন বিডব্লিউএবি। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিডব্লিউএবির প্রেসিডেন্ট কাজী মো. শফিকুর রহমান।

বিডব্লিউএবির প্রেসিডেন্ট জানান, বিএবি সম্প্রতি ব্যাংক কর্মীদের বেতন-ভাতা কমানোর বেশ কিছু সুপারিশ করে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে চিঠি পাঠিয়েছে। মাহামারির সময়ে ব্যাংকাররা এখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। এসময় ব্যাংকারদের বেতন-ভাতা কমালে তাদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হবে। এতে করে কর্মস্পৃহা কমে যাবে।

বিডব্লিউএবি মনে করে, চলমান সংকটময় পরিস্থিতিতে ব্যাংকের কর্মচাঞ্চল্য অব্যাহত রাখার জন্য কর্মকর্তাদের মনোবল ও দক্ষতা অটুট রাখা এবং অনুপ্রেরণা ও উদ্দীপনা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। এর বিপরীতে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বভাবতই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে।

এসব বিবেচনায় বিডব্লিউএবি এর পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- কোনো অবস্থাতেই ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রাপ্ত বেতন ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধা না কমানো। সাধারণভাবে ব্যাংক কর্মকর্তাদের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট চালু রাখা। ব্যাংকের বাৎসরিক মুনাফার ভিত্তিতে ইনসেন্টিভ বোনাস চালু রাখা। ব্যাংকের প্রণীত ক্রাইটেরিয়া অনুসরণ করে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি বিবেচনা করা এবং সকল ব্যাংক যেন একই ধরনের পদোন্নতি ক্রাইটেরিয়া অনুসরণ করে তার ব্যবস্থা গ্রহণ। কর্মকর্তাদের একই গ্রেডে বিভিন্ন ধরনের ডেজিগনেশনের পরিবর্তে সকল ব্যাংক একই ধরনের (যেমন- অফিসার, সিনিয়র অফিসার, প্রিন্সিপাল অফিসার, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার, এভি/পি, ভিপি ইত্যাদি) ডেজিগনেশন নির্ধারণ ও অনুসরণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ।

এদিকে সম্প্রতি বেতন-ভাতা কমানোসহ ১৩ দফা সুপারিশ করে বিএবির পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালনক ও চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়।

সংগঠনটির সেক্রেটারি জেনারেল স্বাক্ষরিত চিঠিতে ব্যাংকগুলোতে চলমান নিয়োগসহ সব নিয়োগ বন্ধ রাখার সুপারিশও করা হয়। এ ছাড়া নতুন শাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং ও উপ-শাখা খোলা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দার পরিপ্রেক্ষিতে কর্মী ছাঁটাই না করে ব্যাংককে সচল রাখার জন্য প্রস্তাবগুলো দেয়া হয়েছে বলে বিএবির পক্ষ থেকে বলা হয়। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সুপারিশ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছে বিএবি।

১৩ দফা সুপারিশ সম্বলিত চিঠিতে আরও আছে, সব প্রকার স্থায়ী সম্পদ ক্রয় বন্ধ রাখা, কর্মীদের লোকাল ও বিদেশি প্রশিক্ষণ বন্ধ রাখা, সব বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ রাখা, সব প্রকার সিএসআর, ডোনেশন, চ্যারিটি বন্ধ রাখা, পত্রিকা (প্রিন্ট ও অনলাইন) ও টেলিভিশনে সব প্রকার বিজ্ঞাপন প্রদান বন্ধ রাখা, সব কাস্টমার গেট-টুগেদার বন্ধ রাখা।

(ঢাকাটাইমস/১৬জুন/আরএ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

সোনালী লাইফের অফিস ভাড়াকে ভবনের ক্রয়মূল্যের অগ্রিম পরিশোধ দেখানোর দাবি

ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ করতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি ডিভাইস বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

পাটজাত পণ্যের বৈশ্বিক বাজারকে কাজে লাগাতে হবে: পাটমন্ত্রী

অধ্যাপক খলীলী ব্যাংক এশিয়ার বোর্ড অডিট কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত

স্বর্ণের দাম কমল ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা

জনতা ব্যাংকের ম‌্যানেজার্স ইন্ডাকশন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন

বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে স্থানান্তরিত হলো ন্যাশনাল ব্যাংক ডিজাস্টার রিকভারি সাইট

ইসলামী ব্যাংকের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম উদ্বোধন

টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে ওয়ালটন, মুনাফা বেড়েছে ৫১২ কোটি টাকা

মিনিস্টারের শতকোটি টাকার ঈদ উপহার জিতে আনন্দিত ক্রেতারা 

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :