করোনার মাঝে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাড়ি দখলের তৎপরতা!

প্রকাশ | ১৭ জুন ২০২০, ০৯:৫৬ | আপডেট: ১৭ জুন ২০২০, ০৯:৫৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বাড়ি দখলে স্থানীয় এক প্রভাশালীর হামলা ও প্রাণনাশের হুমকিতে তিন মাস ধরে বাড়িছাড়া বৃদ্ধ রফিকুল ইসলামের পরিবার। করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই দুর্যোগের সময় মারধর করে তাদের বসতভিটা থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে।

রফিকুল ইসলামের পরিবারের অভিযোগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার চন্ডালখিলে তাদের বাড়ি্টি দখলে তৎপর প্রভাবশালী এক ভূমিদস্যু। একের পর এক মামলা দিয়েও হয়রানি করা হচ্ছে এই পরিবারের সদস্যদের।

এদের হাত থেকে রক্ষা পেতে দিন দুয়েক আগে পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছেন রফিকুল ইসলামের স্ত্রী জায়েদা বেগম।

ওই আবেদন থেকে জানা যায়, চন্ডালখিল মৌজার ২০৯,২১০ ও ২১১ দাগে নাল ও বাড়ি শ্রেণির মোট ৫৪ শতক ভূমির মালিক জায়েদা। জায়েদা তার মা মোছাম্মৎ রেজিয়া খাতুনের কাছ থেকে ১৯৯৪ সালে এই জায়গা কেনেন, যার সব নিথিপত্র রয়েছে। তার কোনো ভাই না থাকায় আগে থেকেই ওয়ারিশ হিসেবে ওই বাড়িতে বসবাস করছিলেন তিনি।

জানা যায়, এই পরিবারের বসতভিটা ও নাল জমি দখল করতে অনেক দিন ধরে তৎপর গ্রামের প্রভাবশালী সর্দার তাজুল ইসলাম। তার লোকজন সম্পত্তি দখলে নিতে কয়েক দফা মারধর করে জায়েদা, তার বৃদ্ধ স্বামীসহ পরিবারের সদস্যদের।

গত মার্চ মাসে দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে তাজুল ইসলামের লোকজন জায়েদাদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে দেয়। এরপর গত ১৪ মে হামলা চালিয়ে তাদের মারধর করা হয়। এ ঘটনায় জায়েদার ছেলে রুবেল মিয়া ২৩ মে তাজুল ইসলামসহ ১৮ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ জায়েদাদের। এখন পর্যন্ত একজন আসামিও গ্রেফতার হয়নি এ মামলার।

মামলা দায়েরের ৫ দিন পর উল্টো তাজুল ইসলাম পাল্টা রফিকুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সবার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।

জায়েদা বলেন, অবাস্তব ও মিথ্যা অভিযোগ এনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তাজুল ইসলাম।

জায়েদার অভিযোগ, তার মামলার আসামি তাজুল ইসলামসহ অন্যরা এলাকায় দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং তাদের প্রাণনাশের হুমকিসহ নানা ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র দিন কাটাচ্ছেন তারা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডের থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সেলিম উদ্দিন জানান, অভিযোগের বিষয়টি তারা তদন্ত করে দেখছেন। 

(ঢাকাটাইমস/১৭জুন/মোআ)