শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগে শর্ত প্রত্যাহারের দাবি

প্রকাশ | ১৭ জুন ২০২০, ১৭:৪৮

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

শেয়ারবাজারে অপ্রদর্শিত বা কালো টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাজেটে তিন বছরের লক-ইন এর প্রস্তাবিত শর্ত প্রত্যাহারের দাবি করেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)।

বুধবার ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানিয়েছেন সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম। এতে অংশগ্রহণ করেন সিএসইর পরিচালক সোহেল মাহমুদ শাকুর, মো. লিয়াকত হোসাইন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আনিতা গাজী ইসলাম, মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন-উর-রশীদ।

আসিফ ইব্রাহিম বলেন, তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর কর হার ব্যবধান ১০ শতাংশ ছিল। তবে বাজেটে অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ২.৫০ শতাংশ কমানোর মাধ্যমে সেই ব্যবধান ৭.৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এতে করে ভালো ভালো কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারে আসতে নিরুৎসাহিত হবে। তাই তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর কর হার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন তিনি। এতে করে ভালো ভালো কোম্পানি শেয়ারবাজারে আসতে উৎসাহিত হবে বলে মনে করেন তিনি।

কৌশলগত বিনিয়োগকারী পেতে সহযোগিতার জন্য সিএসইকে পাঁচ বছর কর অব্যাহতি দেওয়ার আহ্বান করেছেন সিএসই চেয়ারম্যান। এছাড়া ব্রোকার হাউজগুলোকে শেয়ার লেনদেনের ওপর উৎসে কর কমানোর দাবি করেছেন।

সিএসইর অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. মিজানুর রহমান বলেন, একটি বিশেষ পরিস্থিতির কারণে ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনাটি দেওয়া হয়। তবে অন্যান্যদের মতো আমরাও শেয়ারবাজারে অবাধ ও উন্মুক্ত লেনদেন চাই। তাই আশা করি অচিরেই বিনিয়োগকারীরা সেই সুযোগ পাবে।

এর আগে মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সঙ্গে (বিএসইসি) আলোচনায় অপ্রদর্শিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকৃত অর্থ সম্পূর্ণভাবে লকইন ফ্রি এবং কর হার ৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে। এলক্ষ্যে কমিশনকে দাবিগুলো বাস্তবায়নে করণীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান করে।

এছাড়া ব্রোকার হাউজগুলোকে শেয়ার লেনদেনের ওপর উৎসে কর ০.০৫ শতাংশের পরিবর্তে ০.০১৫ শতাংশ করা, লভ্যাংশ আয়ের করমুক্ত সীমা ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা করা, তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট কর হার বিদ্যমান ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ এবং তালিকাভুক্ত ব্যাংক, ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিমা কোম্পানির কর হার ৩৭.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩২.৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা, দুই মাসের মার্জিন ঋণের সুদ মওকুফ ও চলতি অর্থবছরের সিডিবিএল বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব রক্ষনাবেক্ষণ ফি মওকুফের দাবি জানিয়েছে ডিএসই।

(ঢাকাটাইমস/১৭জুন/আরএ/জেবি)